ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে বাড়ছে মনু ও কুশিয়ারার পানি

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ২১ জুন ২০২২  
মৌলভীবাজারে বাড়ছে মনু ও কুশিয়ারার পানি

নদীতে বালির বস্তা ফেলে বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা

ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে একের পর এক গ্রাম তলিয়ে গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা মনু নদীর সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁধ মেরামতের কাজ করছে। 

মঙ্গলবার (২১ জুন) মৌলভীবাজারের চাঁদনি ঘাট মনু নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটারের উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল থেকে ব্রিজের কাছে ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালি ভর্তি ব্যাগ ফেলে শহর রক্ষা বাঁধকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষকে। 

মনু নদীতে ৬৭টি ও ধলাই নদীতে ১১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে যেগুলো ভেঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের ৪০ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩০টি ঘরবাড়ি। ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন শিশুসহ দুইজন। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জনা গেছে, এখন পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের জন্য ২১০ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। 

এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ৫০ মেট্রিকটন চাল ও ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে এখনো মজুত আছে ৫৪৩.৫০০ মেট্রিকটন চাল, ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। 

মৌলভীবাজারে আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ১০১টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ২৪ হাজার মানুষ। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান জানান, নদ-নদীর বেশ কিছু স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি এক দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। 
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, আক্রান্ত এলাকায় শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ছাড়াও ৬০টি স্বাস্থ্য টিম কাজ করছে।

হামিদ/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়