ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সপ্তম পর্ব || রোবটের দেশে

শাকুর মজিদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ৩০ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সপ্তম পর্ব || রোবটের দেশে

হোটেল কামরায় মাথায় সাহেবি হ্যাট পরা যে দুই তরুণী ঠোঁটের কোণায় মিষ্টি হাসি দিতে দিতে ঘর মোছার কাজ করছিল তাদের দেখেই আমার মায়া লেগে যায়। ঝাড়ুদারের কাজে এমন সুশ্রী তরুণী আগে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। আমার ইচ্ছা হয়, এদের সাথে কথা বলতে। জানি, বলে লাভ নাই, একবর্ণ ইংরেজি বলতে পারবে না। মন বললো, চেষ্টা করে দেখো।

আমি কী যেন মনে করে তার নাম জিজ্ঞাস করলাম।

সে ঘর মোছার ঝাড়ু নিচে নামিয়ে রেখে দেবতাদের প্রণাম করার যে ভঙ্গিতে করজোড় করা হয়, অনেকটা সেই ভঙ্গিতেই আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে মাথাটা খানিক নুইয়ে একজন তার নাম বল্লো । বুঝলাম সে ইংরেজি কিছুটা জানে। আরেকজন যে জানে না, সে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখতে লাগলো। তার মুখের ঠোঁটের কোণায় হাসি লাগানো।

মেয়েটার নাম আমি মনে রাখতে পারিনি। লেখার সুবিধার জন্য তার একটা নাম না হয় আমি দিয়েই দেই। ধরে নেই, তার নাম ছিল উয়ি।

অনুগত জাপানি হোটেল কর্মী

উয়ি জাপানেরই এক বিশ্ববিদ্যালয়ের হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী। দুই মাস হলো এসেছে এখানে, আর দুই মাস পরে চলে যাবে। যেহেতু এটা তার ইন্টার্নশীপ, তাই একজন রেগুলার স্টাফের সাথে সে কাজে আসে। তার সাথে আসা কেবল জাপানি ভাষা জানা মেয়েটা এখানকার রেগুলার কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ হয়ে গেলে এরকমই কোনো বড় হোটেলের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে তার হয়তো চাকরি হবে, কিন্তু এখন শুরু করতে হবে সবচেয়ে ছোট কাজ দিয়ে। কাজ মানে কাজ, সেটা ছোট বা বড় কোনো বিষয় না ।

মেয়ে দুইটার সাজ বেশ সুন্দর। হোটেলের সব স্টাফের মতোই কালো রঙের পোশাক।  হাফ হাতা শার্টের মতো একটা পোশাকের সাথে একই রঙের স্কার্ট, মাথায় জাহাজের কাপ্তানের মতো টুপি। তার কানে একটা হেডফোন লাগানো আছে বোঝা যায়, মাঝে মাঝে ঘাড়ের দিকে মুখ বাঁকিয়ে তার নিজের ভাষায় কথা বলে সে। বুঝি তার কোনো উপরওয়ালার সাথে তার যোগাযোগ হচ্ছে।

আমাদের কামরায় এখন আছে কলকাতা থেকে যাওয়া স্থপতি মলয় ঘোষ। আমার সাথে কথা বলার সময় উয়ি যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখালো তা দেখে সে রীতিমতো অভিভূত। উয়িকে বলে, তুমি আর কী কর?

—আমি গান গাই।

বাহ, আমাদেরকে কি দু’ লাইন জাপানি ভাষায় গান গেয়ে শোনাবে?

উয়ি করজোড় করে মাথাটা আরো নোয়ায়ে বলে, সরি, আমি এখন ডিউটিতে আছি। এটা সম্ভব না।

উয়ির এই তরিকায় মাথা নোয়ানোর বিষয়টা আমাদের নজর কাড়ল।

মলয় বলল, এমন করে মাথা নোয়ালে কেন? আমরা তো কেবল দেবতার কাছে এমন মাথা নোয়াই।

উয়ি বলে, আমাদের এখানে এটাই নিয়ম। তিন রকমের মাথা নোয়ানো আছে।

রসিক গাইডকে নিয়ে যাত্রা

এই বলে সে তিনভাবে মাথা নুইয়ে জাপানি ভাষায় কী যেন বলল। তার প্রথমটি, আমি দুঃখিত, দ্বিতীয়টি আমি অনেক দুঃখিত আর তৃতীয়টি আমি অনেক অনেক দুঃখিত। তৃতীয়টি বলার সময় মাথা নুইয়ে প্রায় নব্বই ডিগ্রিতে শরীর বাঁকিয়ে নেয়।

আমি মনে মনে বুঝলাম, মানুষকেই তাঁরা দেবতাতুল্য মনে করে আর মানুষের কাছেই তাঁরা অবণত হয় এবং জাতি হিসেবে এরা খুব ভদ্র। যতক্ষণ কামরায় ছিল কী মাথা উচু করে চোখে চোখ রেখেও তাকায়নি। এমনকি ছেলেরাও যখন এসেছে, কেউ দেখি চোখ তুলে তাকায় না। সবার ঘাড় নিচু, পায়ের দিকে চোখ।

জাপানের এই সম্প্রদায়কে দেখে একশ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন— “এখানকার ঘরকন্নার মধ্যে প্রবেশ করে সবচেয়ে চোখে পড়ে জাপানি দাসী! মাথায় একখানা ফুলে ওঠা খোঁপা, গালদুটো ফুলো ফুলো, চোখদুটো ছোটো, নাকের একটুখানি অপ্রতুলতা, কাপড় বেশ সুন্দর, পায়ে খড়ের চটি— কবিরা সৌন্দর্যের যে-রকম বর্ণনা করে থাকেন তার সঙ্গে অনৈক্য ঢের, অথচ মোটের উপর দেখতে ভালো লাগে; যেন মানুষের সঙ্গে পুতুলের সঙ্গে, মাংসের সঙ্গে মোমের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পদার্থ; আর সমস্ত শরীরে ক্ষিপ্রতা, নৈপুণ্য, বলিষ্ঠতা। গৃহস্বামী বলেন, এরা যেমন কাজের, তেমনি এরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমি আমার অভ্যাসবশত ভোরে উঠে জানলার বাইরে চেয়ে দেখলুম, প্রতিবেশীদের বাড়িতে ঘরকন্নার হিল্লোল তখন জাগতে আরম্ভ করেছে—সেই হিল্লোল মেয়েদের হিল্লোল। ঘরে ঘরে এই মেয়েদের কাজের ঢেউ এমন বিচিত্র বৃহৎ এবং প্রবল ক’রে সচরাচল দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু, এটা দেখলেই বোঝা যায়, এমন স্বাভাবিক আর কিছু নেই। দেহযাত্রা জিনিসটার ভার আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত মেয়েদেরই হাতে; এই দেহযাত্রার আয়োজন উদ্যোগ মেয়েদের পক্ষে স্বাভাবিক এবং সুন্দর। কাজের এই নিয়ত তৎপরতায় মেয়েদের স্বভাব যথার্থ মুক্তি পায় ব’লে শ্রীলাভ করে। বিলাসের জড়তায় কিম্বা যে-কারণেই হোক, মেয়েরা যেখানে এই কর্মপরতা থেকে বঞ্চিত সেখানে তাদের বিকার উপস্থিত হয়, তাদের দেহমনের সৌন্দর্যহানি হতে থাকে এবং তাদের যথার্থ আনন্দের ব্যাঘাত ঘটে। এই যে এখানে সমস্তক্ষণ ঘরে ঘরে ক্ষিপ্রবেগে মেয়েদের হাতের কাজের স্রোত অবিরত বইছে, এ আমার দেখতে ভারি সুন্দর লাগছে। মাঝে মাঝে পাশের ঘর থেকে এদের গলার আওয়াজ এবং হাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছি, আর মনে মনে ভাবছি, মেয়েদের কথা ও হাসি সকল দেশেই সমান। অর্থাৎ সে যেন স্রোতের জলের উপরকার আলোর মতো একটা ঝিকিমিকি ব্যাপার, জীবনচাঞ্চল্যের অহেতুক লীলা।’’

আজ আমাদের আরেকটি ফাঁকা দিন। কাল থেকে শুরু হবে সেমিনার। আজ আমাদেরকে আরেক দফা টোকিও দেখানোর জন্য বাসে করে নিয়ে যাবে। আমরা মিজি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে হাজির হই। বেলা বারোটায় বাস ছাড়বে। যে তরুণী আমাদের গাইড করে নিয়ে যাবে তার কথা বার্তা শুনে মনে হয় এককালে সে সিনেমায় কমেডিয়ান রোল করত। কথা বলার আগে একটু হেসে নেয়, কথা বলায় মাঝখানে আরেকবার হাসে, আর তার কথা শেষ হলে সবাই হাসে। সে যতটা না মুখে কথা বলে, তারচেয়ে চোখ দিয়ে বেশি বলতে চায়। মাঝে মাঝেই চোখ বুজে টিপ টিপ করতে করতে কথা বলে।

আমাদের দলের স্থপতি মাসুদ খানের সাথে তার শুরুতেই ভাব হয়ে যায়। তার দেহ ভঙ্গি আকৃষ্ট করে মাসুদ ভাইকে। তিনি তার সাথে বাংলায় কথা বলেন, সে জাংরেজিতে। ‘জাংরেজি’ নামটাও মাসুদ ভাইয়ের দেয়া। বলেন, ওর ইংরেজির চেয়ে আমার বাংলা বেশি বুঝা যায়। জাপানি মেশান যে ইংরেজি সে বলে তাতে আমার জন্য বেশি অসুবিধা।

মাসুদ ভাই বলেন, বইনগো, আমরা আজ কোথায় যাব?

গাইড তার সাথে হ্যান্ডশেক করে বলে, থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ।

আমরা হাসি। মাসুদ ভাই আরো জোরে হাসেন। বলেন, আরিগাতো আরিগাতো।

গাইড তার হাত ছাড়ে না, সে আরো জোরে মাসুদ ভাইর হাত চেপে ধরে হাসে এবং বলে, আরিগাতো গুদাইমাসি, আরিগারোতো গুদাইমাসি

মাসুদভাই বলেন— হা, মাসি মাসি। ইউ লুক লাইক মাসি।

আর বাসের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন— এইটার বয়স কিন্তু পঞ্চাশের কাছাকাছি, লেখতে লাগে পঁচিশ-তিরিশ। এরা মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খায় না, এজন্য বয়সও বোঝা যায় না।

এই বাসে বাংলাদেশি সব যাত্রী। মনে হলো যেন আইএবির পিকনিকে যাচ্ছি একদল স্থপতি। মৌজের মুড সবার ।

টানেলের তলায় আটকা পড়ার সময় আমাদের বাস

বাসে ওঠার পর সবাইকে এক বোতল পানি দিয়ে দেয়া হলো। আমরা সীট পকেটে রেখে দিলাম। সীট বেল্ট বাঁধতে বলার আগেই আমরা বেল্ট বেঁধে ফেললাম। জানি কেউ একজনও যদি বেল্ট না বাঁধে বাস ছাড়বে না। এই প্রথম আমি কিন্তু কোনো বাসে বসে সীট বেল্ট বাঁধার অভিজ্ঞতা পেলাম।

বাস ছাড়লো। আমি আমার ক্যামেরা অন করে দিলাম।

গাইড শুরু করলো তার বয়ান।

প্রশান্ত মহাসাগরের একদম পূর্ব কোণে ৬৮০০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা ছোট্ট এই দেশটি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের বিস্ময়ের সীমা নেই। প্রযুক্তির মুন্সিয়ানায় গোটা বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছে জাপানিরা, কিন্তু তাদের সাফল্যের দৌড় কেবল কাঠখোট্টা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, শিল্প সাহিত্যে চিত্রকলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ঈর্ষণীয় বিচরণ।

তার কথাবার্তা এখন আর আমাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে না। মনে হলো যে স্ক্রীপ্ট মুখস্ত করে এসেছে এটা গতকালের গাইড আমাদের বলে ফেলেছে। একই কথা, একই পরিসংখ্যান।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, আমি জাপানের তিনজন লোকের খুব ভক্ত এদের ঠিকানা পাই কই?

সে বলে কারা?

আমি বললাম, আকিরা কুরোসাওয়া, হারুকি মুরাকামি, তাদাও আন্দো।

এর মধ্যে সে নাম জানে একজনের। কুরোসাওয়া। আমি বললাম, তার ছবি দেখেছো?

সে হাসে। গগন বিদারী হাসি। হাসতে হাসতে বলে— না, দেখিনি। তবে ছবির নাম জানে। সেভেন সামুরাই।

আমি বলি— লাস্ট সামুরাই ছবি দেখেছো?

সে আবার হাসে। এবার তার হাসির মানে বুঝে ফেলি আমরা সবাই।

আমাদের বাস থামে একটা টাইল ফ্যাক্টরির শো রুমে। জাপানি টাইলস দেখানো হবে বাংলাদেশ থেকে আসা এই স্থপতিকূলকে। এর জব নিয়ে যাবে একটা কাকড়ার রেস্টুরেন্টে। কাকড়া দিয়ে লাঞ্চ খাওয়াবে সবাইকে।

আমি সবার শেষে নেমে দালানটির বাইরে, ফুটপাথে সিড়ির গোড়ায় বসে থাকি। এগারো তলার শো রুমে যাই না।

বসে বসে আমার জাপানি মানুষজন দেখতে ইচ্ছা করে এবং দেখি যে, এক বৃদ্ধ তার বাড়ির সামনের জায়গাটি নিজে নিজে পরিষ্কার করছেন। তার হাতে যে জিনিস, এটা মিউনিসিপ্যালিটির কর্মীদের হাতে দেখেছি পৃথিবীর অন্য দেশে। এখানেও হয়তো আছে। কিন্তু তিনি যে মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী না, তার পোশাক দেখেই বুঝতে পারি।

নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি— স্যার, ইয়োর হোম?

তিনি কথা না বলে নিজের দিকে আঙুল দেখান, আমি বুঝি জানতে চাইছেন, আমি তাকেই এ প্রশ্ন করেছি কী না। আমিও কথা না বলে মাথা নাড়ালাম, মানে হ্যাঁ।

তিনি উল্টাদিকের দালানের দোতলার দিকে আঙুল দেখালেন, ওটাই তার বাড়ি, দোতলায় তিনি থাকেন। বয়স হবে আশির উপরে, নিজের বাড়ির সামনের জায়গাটা নিজেই পরিষ্কার করছেন।

এমনিতে জেনেছি যে, জাপানে স্কুলের শিশুদের প্রথমেই শেখানো হয় পরিচ্ছন্নতা। টয়লেট থেকে শুরু করে স্কুল আঙিনার সবকিছু ছাত্ররা নিজ হাতে করে। শুধু ছাত্ররাই না, তাদের শিক্ষকেরাও নিজ হাতে তাঁদের আঙিনা পরিষ্কার রাখে। আর শিশুদের স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি আদব-কায়দা শেখানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে। গুরুজনদের সম্মান করা, মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেওয়া, সবাই মিলে কাজ করা ইত্যাদি শিক্ষা একদম ছেলেবেলায় জাপানিদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়।

বৃদ্ধ বয়সেও একা একা চলাচল করেন জাপানিরা

বিশ্বজুড়ে অসম্ভব করিৎকর্মা পরিশ্রমী একটি জাতি হিসেবে জাপানিদের দারুণ সুনাম রয়েছে। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে অবসরের পরও তারা ঘরে বসে থাকতে পছন্দ করে না। ঘরের কাজে, বাচ্চাদের যত্নআত্তিতে, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় কেটে যায় তাদের। পরিশ্রমের সুফলটাও প্রত্যক্ষ। জাপানের মানুষের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে কম, শরীর শক্তপোক্ত থাকে বহুবছর পর্যন্ত। সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষের তালিকায় জাপানের অবস্থান তৃতীয়। গড়ে প্রায় ৮৩ বছর বাঁচে জাপানিরা, পুরো জীবনটাই কাটে কাজের প্রতি বিপুল উদ্দীপনায়, পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে।

এই রাস্তার মোড়ে বসে একটা দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে গেলাম।

রাস্তার ক্রস রোডে লাল বাতি জ্বলেছে। দুইপাশে সারি সারি লোক দাঁড়ানো। যদিও এসময় সামনে দিয়ে কোনো গাড়ি চলছে না তারপরও কেউ যাচ্ছে না। এ সময় দেখি এক বৃদ্ধ লাঠি ভর করে হেঁটে হেঁটে পাশের আড়াআড়ি সড়কের দিকে যেতে চাইছেন, তার হাত ধরে আছেন এক তরুণী। তরুণী বৃদ্ধকে ধরে এনে সিগন্যাল পোস্টের কাছে এনে দাঁড় করালেন। একটা বাতিতে টিপ দিলেন এবং চলে গেলেন।

আমার প্রথমে মনে হয়েছিল যে, এই বৃদ্ধের নিশ্চিত কোনো আত্মীয়া এই তরুণী। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারি, তিনি একজন অপরিচিতা পথচারী, সড়ক পার হবার জন্য যখন দাঁড়িয়েছিলেন তখন এই বৃদ্ধকে একা একা চলতে দেখে তাকে এটুকু পথ সাহায্য করে নিজের কাজে চলে গেলেন।

জাপানে মাত্র দুইদিন হয়েছে আমাদের। আরো কত কিছু যে দেখব!

আমাদের দল চলে আসে টাইলস সামগ্রী দেখে। আমাদের গাইড তাড়া দিচ্ছে কাকড়া রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে।

এমনিতে জাপানি খাবারে আমি এখনো স্বাদ পাইনি। নানা বেরাছেরা হচ্ছে এই খাবার নিয়ে। দেখা যাক আজ কী আছে সেখানে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৯/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়