ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গ্রিনল্যান্ড পার্কে মুগ্ধ পর্যটক

মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রিনল্যান্ড পার্কে মুগ্ধ পর্যটক

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : সভ‌্যতা যত উন্নত হচ্ছে তত বাড়ছে মানুষের ব‌্যস্ততা। প্রতিযোগিতার এই যুগে মানুষের দম ফেলার ফুরসত নেই যেন। কাজ করতে করতে যখন দম আটকে আসে তখন সবাই চায় একটু অবসর, একটু বিনোদন। তাই শত ব‌্যস্ততার ফাঁকেও মানুষ সময় বের করে ভ্রমণে বের হয়।  

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে আছে এমন সুন্দর কিছু জায়গা যেখানে গেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তেমনই একটি পর্যটন স্পট হবিগঞ্জের পাহাড়বেষ্টিত চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের পারকুল পাহাড়ে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড পার্ক। সবুজ পাহাড়ে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য এখানে সুব্যবস্থা আছে। এখানে গড়ে উঠেছে পিকনিক স্পট। এ স্থানটিকে আরো বিনোদনমুখী করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এখানে শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র।

নানা যানবাহন করে চুনারুঘাট শহর থেকে গ্রিনল্যান্ড পার্কে যাওয়া যায়। এখানে প্রবেশ করেই লেকের নিস্তরঙ্গ পানি আর পার্কের গাছ-পাখি আপনাকে স্বাগত জানাবে। চতুর্দিকে সারি সারি গাছে ফুলের মৌ মৌ গন্ধ। লেকে শান বাঁধানো ঘাট। পার্কে বাচ্চাদের জন‌্য দোলনা আছে। পার্কে গরু, মুরগি, কবুতর ও হাঁসও পালন করা হয়। চাষ হয় সবজিও। পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ এমদাদুল হক সোহাগ গ্রিনল্যান্ড পার্কটিকে মনের মতো করে সাজাচ্ছেন। তার প্রতিনিধি কাজী মাহমুদল হক সুজনের পার্কের দেখভাল করছেন।

 

 

কাজী মাহমুদল হক সুজন জানান, প্রতিদিন এখানে পর্যটকরা এসে প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করে মুগ্ধ হচ্ছেন। লেকে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে। এসব গাছে বসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। শিশুদের জন্য বিনোদনকেন্দ্র আরো আধুনিক করা হবে। এ পার্ককে ঢেলে সাজাতে নানা অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।

কথা হয় গ্রিনল‌্যান্ড পার্কে বেড়াতে আসা সজল ও রত্নার সঙ্গে। তারা জানান, পরিবার নিয়ে এখানে ভ্রমণে এসেছেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পার্কে ঘুরছেন। তাদের সন্তানরা  পার্কের শিশু বিনোদনকেন্দ্রে খেলা করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। বাসায় তাদের খেলা করার তেমন কোনো স্থান নেই। তাই মাঝে মধ্যে এখানে আসেন সন্তানদের নিয়ে। এতে সন্তানরা খুশি হয়।

আরেক পর্যটক সমুজ আলী বলেন, মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে নানা স্থানে ঘোরাফেরা করা প্রয়োজন। এতে তাদের মেধা বিকশিত হয়। একসময় হবিগঞ্জে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর স্থান তেমন ছিল না। এখন পাহাড়ি মুক্ত বাতাসে গ্রিনল্যান্ড পার্ক, রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়িসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড পার্ক অন্যতম। এখানের নিরাপত্তার অভাব নেই। এ পার্কে শিশুদের জন্য বিশেষ বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠছে।

আফসার আহমেদ বলেন, প্রিয় মানুষকে নিয়ে এখানে এসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছি। এতে আমরা মুগ্ধ।


রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মো. মামুন চৌধুরী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়