ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মেলাকা নদীর যত গল্প (শেষ পর্ব)

ফাতিমা জাহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ১৯ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৮:১৭, ১৯ অক্টোবর ২০২০
মেলাকা নদীর যত গল্প (শেষ পর্ব)

সেইন্ট পিটার`স চার্চ

মেলাকা নদীর শান্ত মুখটির মুখোমুখি কোণ ধরে অল্প হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র ‘রেড স্কয়ার’-এ। সব স্থাপনা এখানে লাল রং করা। এ কারণেই এমন নাম। ওলন্দাজদের রেখে যাওয়া নিদর্শন। আজকে ডাচ বা ওলন্দাজ স্থাপনা দেখতে যাচ্ছি।

পর্তুগিজ শাসনামলে ওলন্দাজ বাহিনী বেশ ক’বার মেলাকা দখলের জন্য আক্রমণ করে। সর্বপ্রথম আক্রমণ করে ১৬০৬ সালে, কিন্তু পেরে ওঠেনি। ১৬৪১ সালে মালয়েশিয়ার অন্য শক্তিশালী রাজ্য ‘জহর’-এর রাজার সহায়তায় মেলাকা আক্রমণ করে, মেলাকা ততদিনে পর্তুগিজদের অভেদ্য দুর্গে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তারপরও জয়ী হয় ওলন্দাজ বাহিনী। জহর রাজা ওলন্দাজদের সঙ্গে সামরিক অভিযানে যাবার আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল এই শর্তে যে ওলন্দাজ সরকার মেলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উপনিবেশ সম্প্রসারণ করতে পারবে না বা মালয়েশিয়ার অন্য রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহেও যেতে পারবে না। ওলন্দাজ বাহিনীর ঔপনিবেশিক আমল ছিল মেলাকায় সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিদেশি প্রভুর রাজ্যকাল, প্রায় ১৮৩ বছর।

‘স্টাডহুইস’ বা ‘স্টাডহুইজ’ মানে মিলনায়তন। স্থাপনকাল ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ। লাল রঙা একতলা টানা বিশাল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল তদানীন্তন ওলন্দাজ গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরের অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য। বর্তমানে ভবনটি মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আদি থেকে বর্তমান অবধি মেলাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি, মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে বিশদভাবে জানা যাবে এই বিশাল জাদুঘর থেকে। সুলতান মাহমুদের ব্যবহৃত সিন্দুক বা পর্তুগিজ, ওলন্দাজ আর ইংরেজদের রেখে যাওয়া নথিপত্র, অস্ত্র, মালয়েশিয়ান, চাইনিজ বা ভারতীয়দের কয়েকশ বছর আগের জীবনযাপন সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ ভাস্কর্যসহ মিলবে। পেছনের বেশ কয়েকটি ভবনজুড়ে জাদুঘরটি বিস্তৃত। স্টাডহুইসের পেছনের অংশ থেকে সেইন্ট পল’স চার্চ দেখা যায়।

আসাম পেদাস উইথ ফিশ

স্টাডহুইস থেকে বের হয়ে ডান দিকে নাক বরাবর কয়েক কদম গেলেই মিলবে ‘ক্রাইস্ট চার্চ’। রেড স্কয়ার নাম জায়গাটির তাই সব ভবন লাল রঙে রাঙানো। ওলন্দাজ আমল বা ব্রিটিশ আমলেও ভবনগুলোর রঙ সাদা ছিল। কিন্তু পরে লাল রঙ করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীর ওলন্দাজ আদলে নির্মিত প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জাটি প্রাচ্যের সবচেয়ে পুরনো গির্জা যেখানে এখনো নিয়মিত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ১৭৫৩ সালে ওলন্দাজ আমলে গির্জাটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেইন্ট পল’স চার্চের পরিবর্তে স্টাডহুইসের পাশে আধুনিক উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। চৌকোণ ভবনটির ছাদ লাল ট্যালি দ্বারা আচ্ছাদিত। ওলন্দাজ আমলে গির্জাটির নাম ছিল ‘বোভেনক্রেক’। পরে ইংরেজ শাসনামলে গির্জাটির নাম রাখা হয় ‘ক্রাইস্ট চার্চ’।

দিনটা ছিল রবিবার। আমি ঢুকেই দেখি প্রার্থনা চলছে। চুপচাপ পেছনের একটা বেঞ্চে বসে ভবনের ভেতরের নির্মাণশৈলী দেখতে লাগলাম। ছাদে লম্বাভাবে মজবুত তক্তা বসানো। আর মেঝেতে বসানো আছে সে আমলের গ্রানাইট পাথর। গির্জার প্রার্থনা চলছিল তখন ম্যান্ডারিন ভাষায়। রবিবার তিনটি ভিন্ন সময়ে তিন ভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়- ইংরেজি, ম্যান্ডারিন ও মালায়। ভেতরে ওলন্দাজ ও আর্মেনিয়ান অনেকের সমাধিফলক রাখা আছে। গির্জাটির বাইরের রঙ লাল কিন্তু ভেতরের দেয়াল ধবধবে সাদা। কয়েকজন অতিশয় হদয়বান চাইনিজ, মালায় অধিবাসী আমাকে দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে বললেন। আমার তো তখন আরো স্থাপনা দেখা বাকি তাই সবিনয় তাদের নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে চললাম ওলন্দাজ আমলের আরেকটি স্থাপনা সেইন্ট পিটার’স চার্চ দেখতে।

গরমে তখন দুপুর তাতিয়ে উঠছে। ছাতা মাথায় ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। জুলাই মাসের গরমে এদেশীয় পাম জাতীয় ফল পাকে বোধহয়, যেমন পাকে আমাদের তাল। এরা তো জাতভাই। পথিমধ্যে লিটল ইন্ডিয়া পড়ায় ঢুঁ মারলাম। অন্যান্য শহরের লিটল ইন্ডিয়ার মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ভারতীয় খাবার, পোশাকা, পূজার উপকরণ ইত্যাদির দোকানের অভাব নেই। মন্দিরও আছে উপাসনার জন্য, দক্ষিণ ভারতীয় আদলে নির্মিত, মন্দিরের পুরোহিত দক্ষিণ ভারতীয় লুঙ্গি পরে মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে। আশেপাশে দক্ষিণ ভারতের সংস্কৃতির ছাপ সুস্পষ্ট। শাড়ি পরিহিত নারীদের দেখলাম বাজার করতে।

লিটল ইন্ডিয়া পেরিয়ে আরো খানিকদূর হেঁটে পেয়ে গেলাম সেইন্ট পিটারস চার্চ। নির্মাণকাল ১৭১০ খ্রিস্টাব্দ। বলা হয়ে থাকে, ওলন্দাজ বাহিনী মেলাকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সব পর্তুগিজ ক্যাথলিক গির্জা এবং সমাধিভূমি বন্ধ করে দেয়। ডাচ বাহিনী খ্রিস্টান হলেও প্রোটেস্ট্যান্ট মতাবলম্বী ছিল। তারা ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর ধর্ম পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে কিছু সময়। এমন কি সেসময় ক্যাথলিক জনগোষ্ঠী নিজ গৃহেও প্রার্থনা করতে পারতো না। ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের উপাসনা, ধর্ম প্রচারণা, ধর্মোপদেশ দেওয়া বা সাধারণ শিক্ষা দেওয়া থেকেও বিরত রাখা হয়েছিল। ১৭০৩ সালে এ নিয়ম শিথিল করা হয় যখন স্প্যানিশ বাহিনী ওলন্দাজদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এবং ফলস্বরূপ ওলন্দাজ শাসক পর্তুগিজদের সঙ্গে এক প্রকার সন্ধিতে যায়।

মেলাকায় মালয়েশিয়ার বাসিন্দা

সেসময় ক্যাথলিকদের জন্য এক টুকরো জমি বরাদ্দ করা হয় এবং সেখানেই নির্মিত হয় সেইন্ট পিটারস চার্চ। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের স্থাপত্যকলায় নির্মিত এ গির্জাটি সবচেয়ে পুরনো ক্যাথলিক গির্জা। ভেতর এবং বাইরের রঙ সাদা, সিলিং-এ কাঠের আবরণ, আয়তনে মাঝারি আকার।

বেলা পড়ে আসছিল, খেয়াল হলো, দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি। ছুটলাম মেলাকা নদীর তীরে স্থানীয় খাবারের আশায়। এ বেলার খাবার ‘আসাম পেদাস উইথ ফিশ’। আসাম পেদাস হলো এক ধরনের স্যুপ বা গ্রেভি বা ঝোল যা তেঁতুলগোলা, লঙ্কা, বিভিন্ন মসলা আর সবজি যেমন ঢেঁড়স, বিনস, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে রান্না করতে হয়। মাছ আর তেঁতুলের মেলবন্ধনে রান্না করা খাবার দক্ষিণ ভারতে খেয়েছি অনেক। তবে স্বাদে ভিন্নতা আছে মালায় খাবারে। মেলাকার ঐতিহ্যবাহী মজাদার এ খাবারটি ভাতের সঙ্গে খেতে হয়। আর যদি স্কোর দিতে হয় তাহলে আমি দশে দেব নয়। সঙ্গে পানীয় হিসেবে অবশ্যই নিতে হবে কোকোনাট মিল্ক শেইক। শুধু কোকোনাট মিল্ক শেইক খেয়েই দিন পার করে দেওয়া যায়। 

আজকের দিন যেহেতু ডাচ স্থাপনা পরিভ্রমণের দিন, তাই দিন শেষ করবো ওলন্দাজ দুর্গ আর সমাধিভূমি দর্শনের মধ্য দিয়ে। ওলন্দাজ ধাঁচের বাড়িঘর বিস্তর চোখে পড়ে চায়না টাউনে। ওলন্দাজরা সেখানে বসবাস করত অষ্টাদশ শতাব্দী অবধি; ব্রিটিশ শাসনামলের আগে। কিন্তু পর্তুগিজদের মতো তাদের বংশধররা এখানে আর তেমন নেই। অল্প জনগোষ্ঠী যারা আছেন তাঁরা নিভৃতে থাকেন।

মেলাকার ঐতিহ্যবাহী ডেসার্ট গুলা মেলাকা

রেস্টুরেন্ট থেকে হাঁটাপথের দূরত্ব পাঁচ মিনিট ব্যাসচেন মিডলবার্গ। ওলন্দাজ বাহিনীর নির্মিত দুর্গটির কয়েকটি দেয়াল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ১৬৬০ সালে এ দুর্গটি নির্মাণ করা হয় মেলাকা রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত করার জন্য। প্রথমত বাইরের দেশের আক্রমণ ঠেকাতে এবং দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়ার অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য পর্তুগিজদের দুর্গ আ ফামোসার কাছাকাছি মেলাকা নদীর মুখে নির্মিত হয় দুর্গ ব্যাসচেন মিডলবার্গ। দেয়ালে রাখা আছে সপ্তদশ শতাব্দীর কয়েকটি কামান। রাজ্য দখল, রাজ্য স্থাপনা, রাজ্যে প্রতাপের সঙ্গে টিকে থাকার কতই না আয়োজন! আসলেই কি এসব আয়োজন কোনো ফল বয়ে আনতে পেরেছে, সব বিদেশি প্রভুদেরই তো তাদের ডেরায় ফিরতে হয়েছিল কোনো এক পর্যায়ে। তবুও ক্ষমতার মোহ টিকে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।

পরবর্তী গন্তব্য ওলন্দাজ সমাধিভূমি। ওলন্দাজ রাজার চাকরি করতে আসা কর্মকর্তা আর তাদের পরিবারবর্গের সমাধি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাছাকাছি স্থানে সেইন্ট পলস চার্চের প্রাঙ্গণে এবং একই পাহাড়ের পাদদেশে। সেইন্ট পলস চার্চ প্রাঙ্গণে পর্তুগিজ ও ওলন্দাজ উভয় বাহিনীর সমাধি দেখতে পাওয়া যায়। গির্জার ভেতরে ওলন্দাজ ভাষায় লেখা সমাধিফলক পাওয়া গিয়েছে বেশ কয়েকটি। কে জানে কি শান্তি বা সুখের আশায় কোন দূরদেশ থেকে এসে এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তারা। কাছাকাছি নেই কোনো আত্মীয়, বন্ধু। কৌতূহলী ভ্রমণার্থীরাই যেন যুগ যুগ ধরে আত্মীয়, বন্ধু হয়ে দেখে যাচ্ছেন তাঁদের সমাধি। খুব ছোট বাচ্চার সমাধিও দেখলাম যাদের বয়স দুই মাস থেকে পাঁচ বছর অবধি। ধারণা করা হয় ম্যালেরিয়ার প্রকোপের কারণে কাছাকাছি সময়ে এরা গত হয়েছেন। আহা জীবন!

ওলন্দাজ বাহিনী যখন বুঝে গিয়েছিল যে নেপোলিয়ন বাহিনীকে মোকাবিলা করার মতো সামরিক শক্তি তাদের নেই, তখন তারা ইংরেজদের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। যার নাম ‘অ্যাংলো ডাচ ট্রিটি-১৮২৪’। চুক্তির শর্ত ছিল মেলাকার পরিবর্তে ডাচ বাহিনী সুমাত্রার ‘বেনকুলেন’ রাজ্যের দখল নেবে আর মেলাকার শাসনভার নেবে ইংরেজরা। ১৮২৬ থেকে ১৯৪২ সাল ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরে ব্রিটিশ ক্রাউন কলোনির। এ সময়টাতে ইংরেজরা মেলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজে তেমন মনোযোগ দেয়নি। ওলন্দাজদের রেখে যাওয়া দালানকোঠায় ব্যবহার করেছে প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল মেলাকার জন্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় সময়। জাপান এ সময় মেলাকা দখল করে নেয়। জনজীবন এবং অবকাঠামোগত অবনতি ঘটে। ১৯৪৬ সালে মালয়েশিয়া বিদেশী প্রভুদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সেইসঙ্গে মেলাকা হয়ে ওঠে আলাদা রাজ্য। স্বাধীনতার জন্য যে কোনো জাতির সাড়ে চারশো বছর অপেক্ষা করা লেগেছিল তার উদাহরণ মেলাকা। 

মেলাকার প্রাণকেন্দ্র রেড স্কয়ার

পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, জাপানি কত জাতিই না ক্ষমতার প্রভাব খাটাতে চেয়েছে মালয়েশিয়ার ওপর। ভাবতেই অবাক লাগে। বেলাশেষে সন্ধ্যা যখন আবির ছড়াতে ব্যস্ত, ভ্রমণার্থীরাও ব্যস্ত তখন বিভিন্ন খাবারের রেস্টুরেন্টে কলকাকলিতে। মেলাকার খাবারের জুড়ি নেই কোথাও। একটি রেস্টুরেন্টের এক কোণে স্বভাবসুলভ বসে গেলাম ‘আয়াম পোংতেহ’ নিয়ে। এটা কোনো বইয়ের বা গেইমের নাম নয়, এটা মেলাকার বিখ্যাত খাবার। চিকেন স্ট্যু, যার সঙ্গে সয়া বিন, গাজর, আলু ইত্যাদি সবজি দিয়ে রান্না করা। খেতে একদম আমাদের দেশের মুরগির মাংসের ঝোলের মতো। এরপর মেলাকার বিখ্যাত ডেসার্ট গুলা মেলাকা। সাবু দানা, মধু দিয়ে তৈরি বরফ শীতল মিষ্টি খেলে গরমের লেশমাত্র অনুভব হয় না।

মেলাকায় যদি আমি অভিবাসী হয়ে থেকে যাই তাহলে তার কারণ হবে এখানকার মুখরোচক সব খাবার। নদীর রঙ মাখানো পাড়, অসাধারণ খাবার, রুচিশীল সংগীত আর চুপচাপ সন্ধ্যা পৃথিবীকে স্বর্গীয় করে তোলে। মেলাকার ঐতিহ্য তার নীরবতায়। ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি, হাজারো ভ্রমণার্থী, শত শত দোকান, বাড়িঘর ছাপিয়েও মেলাকা নদীর নীরবতা ধরা দেয় যে কোন সময়। রাজা পরমেশ্বরের প্রিয় মেলাকা নদী চোখ মেলে চেয়ে রয় কোনো অজানা দেশের অচেনা ভ্রমণার্থীর পথ পানে। যতখানি মেলাকা মালয়েশিয়ার ততোখানিই সে যে কোনো ভ্রমণপিয়াসীর আকণ্ঠ মুগ্ধতার পরশ।

ঢাকা/তারা

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়