ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ অভিযানে ডোলমা খাং শিখর জয় 

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৪ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:০৭, ৪ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ অভিযানে ডোলমা খাং শিখর জয় 

বাংলাদেশ ও নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২ নভেম্বর) ডোলমা খাং পর্বত শিখরে আরোহণ করেছেন বাংলাদেশের ৪ এবং নেপালের ২ পর্বতারোহী।

ডোলমা খাং নেপালের রোল ওয়ালিং উপত্যকার গৌরিশঙ্কর হিমালয় রেঞ্জে অবস্থিত। নেপাল সময় সকাল ৯টায় হিমালয়ের ২০,৭৭৪ ফুট উচুঁ এই পর্বত জয় করেন পর্বতারোহীরা। শিখরজয়ে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন দুবারের এভারেস্ট আরোহী এম এ মুহিত। দলে ছিলেন কাজী বাহালুল মজনু বিপ্লব,  ইকরামুল হাসান শাকিল এবং রিয়াসাদ সানভী। নেপাল দলে ছিলেন কিলু পেম্বা শেরপা এবং নিমা নুরু শেরপা। 

উল্লেখ্য ডোলমা খাং পর্বতে এটি বাংলাদেশের প্রথম অভিযান এবং সফল আরোহণ। 

এম এ মুহিত বলেন, ‘দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথমে দোগারি হিমাল নামে একটি অবিজিত শিখরে অভিযানের উদ্দেশ্যে আমরা ৭ অক্টোবর কাঠমান্ডু পৌঁছাই। ১২ অক্টোবর পশ্চিম নেপালের রুকুম জেলার কাংড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। কাংড়ি থেকে জিপে তাকসারা পৌঁছে শুরু হয় দোগারি হিমাল বেসক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ট্রেকিং। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত নেপাল হিমালয়ে ভারী তুষারপাতের কারণে তিন থেকে চার ফুট উচুঁ বরফ জমে ছিল। ফলে পাঁচ হাজার মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে সাত থেকে আট ফুট উচুঁ বরফের কারণে আর সামনে আগানো সম্ভব হয়নি। সবদিক বিবেচনা করে আমরা দোগারি হিমাল অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা করি। এরপরই মূলত অভিযান আয়োজনকারী সংস্থা ইমাজিন নেপালের কর্ণধার বিখ্যাত পর্বতারোহী মিংমা গ্যালজে শেরপার সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ অভিযানটি ডোলমা খাং শিখরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা ২৮ অক্টোবর সিমিগাওয়ের উদ্দেশ্যে কাঠমান্ডু ত্যাগ করি।’  

এম এ মুহিত আরো বলেন, ‘সিমিগাও থেকে ট্রেকিং করে আমরা ৩০ অক্টোবর ১২,২৭০ ফুট উচ্চতার বেদিং গ্রামে পৌঁছাই, যেটি ছিল এ অভিযানের বেসক্যাম্প। ১ নভেম্বর দুপুরে আমরা  ১৬,০৭৬ ফুট উচ্চতায় হাইক্যাম্পে পৌঁছাই। সেদিন দিবাগত রাত একটায় আমরা হাইক্যাম্প থেকে শিখর জয়ের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত আরোহণ শুরু করি। ভোর ছয়টার দিকে আমরা প্রায় ৭০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া কয়েকশ মিটার উচ্চতার এক দেয়ালের নিচে আসি। সেই কঠিন দেয়ালে রোপ ফিক্স করেন নেপালি দলের নেতা কিলু পেম্বা শেরপা ও নিমা নুরু শেরপা। সেই দড়িতে শুরু হয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ  জুমার ক্লাইম্বিং। কষ্টকর সেই আরোহণ শেষে প্রায় ২৫ মিটারের ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ এক সরু রীজ লাইন পেরিয়ে আমরা ডোলমা খাং শীর্ষে পৌঁছাই। প্রথম বাংলাদেশি দল হিসেবে অভিযান এবং আরোহণের সাফল্যে আমরা আনন্দিত।’

অভিযানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও ইমাজিন নেপাল। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে  ইস্পাহানী টি লি., স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি. এবং ফার্স্ট সিকিওরিটি ইসলামী ব্যাংক লি.।

/তারা/ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়