ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ডিসেম্বরের স্মৃতি : স্বাদ-বিস্বাদ

আহমদ রফিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডিসেম্বরের স্মৃতি : স্বাদ-বিস্বাদ

॥ আহমদ রফিক ॥

ফেব্রুয়ারি যেমন ভাষা আন্দোলনের মাস থেকে ভাষার মাস হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, তেমনি ডিসেম্বর হয়েছে বিজয়ের মাস। ঘটনা যদিও মধ্য ডিসেম্বরে অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর। শীতের মিঠে রোদে রেসকোর্স ময়দানে দাম্ভিক পাক সেনাপতি নিয়াজির আত্মসমর্পণ একাত্তরে গঠিত যৌথ সেনাকমান্ডের কাছে। ‘যৌথ’ শব্দটি এক্ষেত্রে খুব একটা অর্থবোধক নয়। বাস্তবে যা ঘটেছে তা হলো, আত্মসমর্পণের দলিলে সই নেই বাংলাদেশ প্রতিনিধির। রেসকোর্সের মাঠে উপস্থিত ছিলেন না একাত্তরের বাংলাদেশ বাহিনীর সেনাপতি এম. এ. জি. ওসমানি। এতবড় একটি গরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসকি ঘটনার চেয়ে তার কাছে কেন সিলেট যাওয়া বড় হয়ে উঠেছিল তা আমার জানা নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি এয়ারভাইস মার্শাল এ. কে. খন্দকার ওই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনায় কোনো গুরুত্ব পাননি। তাই তার স্বাক্ষরের প্রশ্ন আসেনি। তিনি শুধু ঘটনার সাক্ষী।

 

এখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তৎকালে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। তিনিও আটকা পড়েন ভারতে ননো রাজনৈতিক ডামাডোলে। এমন এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আমার কাছে এ ঘটনা আপত্তিকর মনে হয়েছে একাধিক কারণে। তাতে যুক্তি কম নেই। বিষয়টি নিয়ে কচিৎ কথা উঠেছে, তাও জোরালো গুরুত্বে নয়।

 

একাত্তরে লাগাতার প্রথাসিদ্ধ লড়াই এবং গেরিলা যুদ্ধ চালিয়েছিল বাঙালি সেনারা তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙালি গোরিলা যোদ্ধারা। ডিসেম্বরের শুরুতে পাক সেনাপতি ইয়াহিয়া খানের দুর্বুদ্ধিতায় আনুষ্ঠানিক পাক-ভারত যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের সিনারিও পাল্টে যায়। পূর্ব রণাঙ্গনে তথা বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধ ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। অবশ্য তা প্রয়োজনের তাগিদে। সেই সঙ্গে যুদ্ধের চরিত্রে বদলও ঘটে। প্রাধান্য পায় ভারতীয় সেনাকমান্ড। কারণ পাক-ভারত যুদ্ধে যে কোনো ভাবেই হোক না কেন ভারতকে জিততে হবে। তাহলেই পূর্ব রণাঙ্গনে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে ভারত-বাংলাদেশের বিজয় সম্পূর্ণ হবে।

 

পকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করার আগে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধটা ছিল মূলত পাকবাহিনীর নামে বাংলাদেশ বাহিনী। সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সহায়তা। তার আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংগঠিত হওয়ার পর যুদ্ধের পুরো দায়িত্ব ছিল ১১ সেক্টরে বিভাজিত বাংলাদেশ বাহিনী ও তাদের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর। আর একথাও সত্য যে, ভারত এ সেনাদল গড়তে সাহায্য করেছে অস্ত্রভাণ্ডার  দিয়ে। প্রশিক্ষণ দিয়েছে বহুসংখ্যক তরুণকে, আশ্রয় দিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পলায়নপর প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে। এ ঋণ অনস্বীকার্য।

 

তবু বলবো, অনুষ্ঠানিক যুদ্ধ চালাতে গিয়ে যেহেতু ভারতের উদ্যোগেই পূর্ব রণাঙ্গনে যৌথ কমান্ড গঠন করা হয়েছিল, বলাবাহুল্য আন্তর্জাতিক বিবেচনায় কৌশলগত কারণে তাই পরাজিত পাকবাহিনীর ঢাকায় আত্মসমর্পণের ঘটনাটিও সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল যৌথ কমান্ডের নিরিখে যৌথ নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্বে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ব্রাত্য বিবেচনা করা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দিক থেকে সুবিবেচনার কাজ ছিল না।

 

এ ধরনের ভারতীয় মনসিকতা এবং যুদ্ধে বিজয়-পরবর্তী কয়েক মাসে ভারতীয় সেনাদের কিছু আচরণ (যা বহু আলোচিত) এবং ভারতীয় রাজনৈতিক-সামরিক কর্তৃপক্ষের উচ্চমন্যতার মতো কারণগুলি বাংলাদেশী সমাজে ক্রমশ ভারত-বিরোধীতার জন্ম দিতে থাকে। অবশ্য সেই সঙ্গে এ কথাও ঠিক যে, এই বিরোধী মনোভাবের পেছনে এ ছাড়াও ‘কৃতজ্ঞতার ভার’ তথা নেতিবাচক প্রকাশও কারণ হিসাবে বিবেচ্য মনে করি। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই হলো ভারত-বিরুপতা কথা।

বিষয়টির আদ্যোপান্ত বিচার করতে গেলে বাংলাদেশের পক্ষে একটি অন্তর্নিহিত অপ্রিয় মানসিকতার উপস্থিতি সত্য হয়ে ওঠে। তা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে ভারতের সুস্পষ্ট সহায়তার কথা অস্বীকারের প্রবণতা। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে এমন ধারণাও প্রবল যে, ভারত তার চিরশত্রু পাকিস্তান ভাঙতে, তাকে দুর্বল করতে নিজ স্বার্থে বাংলাদেশের স্বধীনতা সংগ্রামে সহায়তা করেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কোনো দায় নেই- চিন্তাটা একপেশে।

 

সন্দেহ নেই, রাজনৈতিক প্রয়োজনের তাগিদে ভারত পাকিস্তানবিরোধী যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এ সত্যই বা অস্বীকার করা যায় কীভাবে যে, ভারতের আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক-অর্থনৈতিক সহায়তা ছাড়া কমবেশি ৯৩ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করা সহজ হতো না। কাজেই এ ঋণটুকু ভারতকে আমাদের মেটাতে হয়। তাই বলে তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বার্থ, অর্থনৈতিক স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নয়। এখানেই আমার ডিসেম্বর ভাবনার সঙ্গে সম্ভবত অনেকের অনুরূপ ভাবনার মিল নাও হতে পারে। ভারতকে একাত্তরের স্বধীনতা যুদ্ধের কালো ভেড়া না বানিয়েও বাংলাদেশী স্বার্থ রক্ষায় ভারত-বিরোধিতা সম্ভব। সম্ভব আরো এই কারণে যে, গত কয়েক দশকে ভারতীয় রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। বাংলাদেশ-ভারত আন্তরিক সৌহার্দের একাত্তরের উষ্ণতা আগের মতো নেই। তা প্রায়শ বাংলাদেশ তরফে এক তরফা হয়ে উঠেছে। নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েন উল্লিখিত পরিবর্তনের জন্য দায়ী। সেখানকার সংসদীয় দলীয় রাজনীতির মেরুকরণও ভিন্ন পথের যাত্রী। দিল্লির মসনদে এখন আসীন হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় রক্ষণশীল দল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী গুজরাট হত্যাকাণ্ডের নায়ক নরেন্দ্র মোদী। তার নির্বাচনকালীন প্রচারে উচ্চারিত সাম্প্রদায়িক হুংকার যদিও অনেকটা প্রশমিত। বাস্তবিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এমনই ঘটে থাকে। সম্ভবত সদ্য নির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তেমন উদাহরণ হতে পারেন। তেমন সম্ভাবনার কিছু লক্ষণ ইতিমধ্যে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। অবশ্য ট্রাম্প সম্পর্কে শেষ কথা বলা বেশ কঠিন।

 

দুই.

ডিসেম্বর দর্শন ও ডিসেম্বর ভাবনা উল্লিখিত বক্তব্যে যে শেষ হয়নি সেটাও এক রাজনৈতিক বাস্তবতা, যা ব্যক্তি বিশেষের বিচারে প্রিয় অপ্রিয় দুই রকমেরই। ‘একাত্তরের সংবাদভাষ্য’ লিখতে গিয়ে বিদেশী সাংবাদিকদের কারো কারো প্রকাশিত তাৎক্ষনিক প্রতিবেদন আমাকে বিস্মিত করেছে। এর কারণ একাত্তরের যুদ্ধের প্রায় শেষ দিকে এবং যুদ্ধ শেষে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনানায়কদের রণাঙ্গন মনসিকতার প্রকাশ। বলাবাহুল্য, ভারতীয় পক্ষে তা যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়নি।

 

বিদেশী অর্থাৎ প্রধানত বিলেতি পত্রিকার বিবরণে দেখা গেছে, যুদ্ধের শেষ দিকে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোনো গ্রুপ যখন এলাকা ‍বিশেষে পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে তখন পাকবাহিনীর  স্থানীয় সামরিক কমান্ডারের শর্ত যে, তারা আত্মসমর্পণ করতে চায় ভারতীয় সেনা কমান্ডের কাছে, বাংলাদেশী সেনাদের কাছে নয়।

এক্ষেত্রে চিরশত্রু  ভারতকে এদের বন্ধু বা সহানুভূতিশীল মনে হয়েছে বাঙালি সমধর্মীদের নয়। এমন ভাবনার সম্ভাব্য কারণ একটাই। বাঙালিদের ওপর পাকসেনাদের নির্যাতন এতটা নিষ্ঠুর ও অমানবিক ছিল যে, তাদের মনে ভয় ছিল আত্মসমর্পণের পর যুদ্ধনীতি না মেনে বাঙালি পক্ষ প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে পারে, প্রতিশোধ নিতে পারে, পাক সেনাদের হত্যার মাধ্যমে। তাদের স্বকৃত অপরাধ তাদের অজানা ছিল না। সিলেটে এমন একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে এক ব্রিটিশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে।

 

দ্বিতীয় ঘটনা হলো, যুদ্ধের শেষ লগ্নে এবং যুদ্ধ শেষে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাদের প্রতি ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষের তুলনামূলক ও অযাচিত নমনীয়তা, সহানুভূতিশীল আচরণ যা সেসময়কার ঘটনাগুলোর নিবিড় বিশ্লেষণে ধরা পড়ে। এটা ভারতীয় সেনাপতি মানেকশ’র বেতারে প্রচারিত জেনেভা কনভেনশন সম্মত আচরণের ওয়াদার তুলনায় একটু বেশিই মনে হয়েছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তখন ভারতীয় সেনা কমান্ডারদের যুক্তি ছিল পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি যোদ্ধাদের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে, এবং তার সঙ্গত কারণ তাদের পূর্বকৃত অন্যায়, অপরাধ। সে প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে এবং পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বানে প্রচারিত নিরাপত্তার বিষয়টি ভারতীয় সেনারা একটু অধিক মাত্রায়ই নিশ্চিত করতে চেয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত সহানুভূতি বিস্ময়কর নয় কি?

 

ঘটনাগুলো বাঙালিদের পক্ষে যায়নি, যারা প্রায় ন’মাস ধরে পকিস্তানি সেনাদের হাতে বর্বর আচরণের শিকার। এ সম্পর্কে ঘটনার উদাহরণ বা বিশদ বিবরণ উদ্ধার করা হয়নি লেখার আয়তনের কথা ভেবে। তবে সব কটি ঘটনাই প্রকাশিত সংবাদভাষ্য ও প্রতিবেদন-নির্ভর।  অর্থাৎ সেসবের নিবিড় বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

 

এ জাতীয় বিষম আচরণের পেছনে আমার নিজস্ব একটি ভাবনা ও পর্যবেক্ষণ কারো কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যুদ্ধে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাবার পর অত্মসমর্পণের গ্লানিতে বিপর্যস্ত শীর্ষস্থানীয় পাক সেনাধ্যক্ষদের সঙ্গে অনুরূপ স্তরের ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের আলাপ ও আচরণ পর্যবেক্ষণে। এর কারণ মনে হয়েছে উভয় পক্ষের ভাষিক ঐক্য, হিন্দি-উর্দুর কিছুটা তথাৎ সত্ত্বেও। সেক্ষেত্রে বাংলা উভয়ের কাছেই দুর্বোধ্য বা অনাত্মীয় ভাষা। দুই বিরোধী পক্ষের জ্যেষ্ঠতম সেনানায়কের (পরাজিত বনাম বিজয়ী) স্বচ্ছন্দ, ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা নেহাৎ সৌজন্যবোধ বলে মনে করার কারণ নেই। অন্তত আমার তা মনে হয়নি।

 

ডিসেম্বরের অভিজ্ঞতায় জয়ের আনন্দের পাশাপাশি রেসকোর্স ময়দানের দৃশ্য ও কিছু সংবাদ ভাষ্যের দাক্ষিণ্যে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কিছু তিক্ত স্বাদ বাকি জীবনের জন্য সত্য হয়ে থাকল। একাত্তরের রোজনামচার স্মৃতিরোমন্থনে এমন কিছু স্বাদ-বিস্বাদ; অন্যদের কথা জানি না, আমার জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার প্রকাশ হিসেবে বিবেচ্য।

সবশেষে সিমলা সম্মেলনেও দেখা গেছে গণহত্যার অমানবিক অপরাধে দায়ী অমানুষগুলোর প্রতি তাদের কর্মকাণ্ডের তুলনায় একটু বেশি মাত্রায় ভারতীয় পক্ষে নমনীয়তার প্রকাশ ঘটাতে যা অনেকটা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। এবং প্রাক-ভারত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রাজনীতির পক্ষের কূটকৌশল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

বাংলাদেশ তখন রাজনীতি-কূটনীতির এ জাতীয় সূক্ষ্ম বিষয়ের দিকে নজর দেয়নি। দেওয়ার মতো মানসিকতা ছিল না স্বাধীন স্বদেশ প্রাপ্তির আনন্দে। ত্রিপক্ষীয় রাজনীতি-কূটনীতি বাংলাদেশ-পক্ষের নমনীয়তায় দ্বিপক্ষীয় হয়ে ওঠে। এর সুবিধা পেয়েছে ভারত ও পাকিস্তান, ভারত অপেক্ষাকৃত বেশি। এ অপ্রিয় সত্য বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনৈতিকদের চেতনায় কতটা ধরা পড়েছিল তা আমাদের জানা নেই। তবে ভারতীয় রাজনীতি এ ব্যাপারে সচেতন ছিল বলেই মনে হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৬/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়