ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সমান্তরাল: সেলিনা হোসেন

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:৩৪, ১১ মার্চ ২০২১

‘বিজয় দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয়ের গৌরব অর্জন করেছিলাম। ৯ মাস যুদ্ধ করে বাঙালি অসীম সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। আগামী বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করা হবে। বিজয় দিবস উদযাপনে সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই। প্রজন্ম যাতে এই দিবসের গৌরব ও মর্যাদা ধারণ করে বড় হয় এবং আগামী দিনের বাংলাদেশকে বিজয়ের গৌরবে উজ্জ্বল করে তোলে।’—রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে নতুন প্রজন্মের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে কলঙ্কজনক আরেকটি অধ্যায়। এ বিষয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেলিনা হোসেন। তিনি বলেন—‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা এতটাই ধৃষ্টতা যে, স্বাধীনতার সম্মানকে অমর্যাদার দিকে ঠেলে দেয়। আমি মনে করি এসব কাজ যারা করছে তাদের উৎখাত করা প্রয়োজন। এই ধরণের রাজকাজ আবার কেন তারা সূচনা করলো সেই জিজ্ঞাসাও আমাদের সামনে প্রতিপাদ হওয়া উচিত। সরকার এসব নিয়ন্ত্রণ করে যেন আমাদের বিজয়কে মর্যাদার সঙ্গে রাখেন।’

এ বছরের বিজয় দিবস জাতীয় জীবনে একটি বড় ধাক্কা। বিষয়টি উল্লেখ করে সেলিনা হোসেন বলেন—‘এ বছরের বিজয় দিবস আমাদের জীবনে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে নানা বিষয়ে বিরোধিতা করেছিল, এ বছরও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে তারা আবার পথে নেমেছে। এই ধরনের আচরণের দুঃসাহস কীভাবে অর্জন করছে স্বাধীনতাবিরোধীরা! এটি একটি বড় দিক হিসেবে আমাদের সামনে চলে আসছে।’

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সমান্তরাল—যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তারা যেন এই বিষয় চিত্তে ঢুকিয়ে নেয়। কারণ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে একটি শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছেন এবং বিশ্ব দরবারে একটি নতুন মানচিত্র উপহার দিয়েছেন বলে জানান সেলিনা হোসেন।  

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়