ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনা প্রতিরোধ চিকিৎসা এবং মহামারি এড়াতে প্রস্তাবনা

ডা. মো. হাসান ইমাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা প্রতিরোধ চিকিৎসা এবং মহামারি এড়াতে প্রস্তাবনা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু  গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে এখনো বাংলাদেশকে সংক্রমণের ৪র্থ ধাপের মারাত্নক ঝুঁকি থেকে বের করে আনার একটা শেষ সুযোগ আছে। কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সমন্বয়হীনতা এবং জনগণের অসচেতনতার জন্য উদ্দেশ্যগুলো দ্রুত কার্যকর হচ্ছে না এবং দেশ আজ মারাত্নক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা যদি সংক্রমণের ৪র্থ ধাপের মারাত্নক ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চাই, তাহলে নিচের প্রস্তাবনাগুলো (১-৯ পর্যন্ত) আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এবং অন্যান্য প্রস্তাবনাগুলো জরুরি ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশকে কিছু দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্ত করতে পারা যাবে ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশে ৫৪ দিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২৩৮, মোট মৃত্যু ১৭০ এবং ৫৪ দিনে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের মধ্যে ৭০,২৩৯টি টেস্ট করা হয়েছে। পর্যাপ্ত টেস্ট না করলে রোগীর সঠিক সংখ্যা জানা  এবং আক্রান্তদের কীভাবে দ্রুত পৃথক করা যাবে? ৫৪ দিনে  শ্রীলঙ্কায় মোট আক্রান্ত ৬৯০, মৃত্যু ৭, ভিয়েতনামে মোট আক্রান্ত ২৭০, মৃত্যু ০, তাইওয়ানে মোট আক্রান্ত ৪২৯, মৃত্যু ৬, মিয়ানমারে মোট আক্রান্ত ১৫১, মৃত্যু ৫, হংকংয়ে মোট আক্রান্ত ১০৪০, মৃত্যু ৪, মালয়েশিয়ায় মোট আক্রান্ত ৬০৭১, মৃত্যু ১০৩, থাইল্যান্ডে মোট আক্রান্ত ২৯৬০, মৃত্যু ৫৪, নিউজিল্যান্ডে মোট আক্রান্ত ১৪৭৯, মৃত্যু ১৯, কিউবায় মোট আক্রান্ত ১৫০১, মৃত্যু ৬৪, ভুটানে মোট আক্রান্ত ৭, মৃত্যু ০, নেপালে মোট আক্রান্ত ৫৯, মৃত্যু ০, এসব দেশে গতকাল পর্যন্ত নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কিছু দেশে ০, কিছু দেশে ৫ থেকে ১০-এর মধ্যে নেমে এসেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো দেশগুলো ইতোমধ্যেই লাখ লাখ টেস্ট করেছে। এই দেশগুলোর ৫৪ দিনের টেস্টের সংখ্যা, রোগীর সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ও প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে আমরা আশা করি সফল হবো। 

চীনসহ যে সব দেশ করোনাভাইরাস ভালোভাবে প্রতিরোধ করেছে সেসব দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে উন্নত চিকিৎসা প্রদান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে দশ হাজার সংখ্যক টেস্ট করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করা, উপসর্গ থাকলেই টেস্ট করা, টেস্ট করাতে ভোগান্তি কমানো, টেস্ট সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি, মোবাইল ফোন ট্রেকিং এর মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করা, কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা, লকডাউন/ বাসায় থাকা শতভাগ কার্যকরী করা, সক্ষম ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে ও অক্ষমদের বিনামূল্যে সকলের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া এবং বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করতে পারলে মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে আশা করি। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবনাগুলো হলো:

১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ সংক্রান্ত কাউন্সিল জরুরি ভিত্তিতে গঠন। কেননা স্বাস্থ্য  মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়হীনতা প্রকটভাবে চোখে পড়ছে। 

২। ঢাকার যে এলাকা এবং দেশের যে সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের পরিবার এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সব ব্যক্তিকে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ জনবল নিয়োগ করে নূন্যতম প্রতিদিন দশ হাজার করোনা টেস্ট করতে হবে। যাদের টেস্ট পজিটিভ হবে তাদের দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এবং সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে চাইলে বাসায় সে রকম ব্যবস্থা আছে কিনা সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ অথবা প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত নিবিড় পর্যবেক্ষণে অথবা মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

সংক্রমিত  ৬২টি জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনা টেস্ট সেন্টার করতে হবে অথবা বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত সেন্টারগুলোর টেস্টের সক্ষমতা বাড়িয়ে পরীক্ষা করা এবং হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচপিদের মাধ্যমে সংক্রমিত এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে দ্রুত স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হবে।

৩। বাংলাদেশে যাদের নূন্যতম করোনার উপসর্গ আছে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, সর্বচ্চো জনবল নিয়োগ করে তাদের সকলের আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে করোনা টেস্ট করতে হবে এবং রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন/ কোয়ারেন্টাইনে রাখতে  হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পিপিই ছাড়া করোনা টেস্ট বুথ বানিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করা যায় অথবা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচপিদের মাধ্যমে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হবে, এতে সমগ্র দেশের যে কোনো স্থানে দ্রুত সময়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করা যাবে। যাদের স্যাম্পল সংগ্রহের অভিজ্ঞতা নেই তাদেরকে দ্রুত অনলাইন /ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

৪। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এলাকা এবং জেলাগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হলেও  জনগণের অসচেতনতার জন্য অনেকেই লকডাউন সঠিকভাবে মানছে না, লকডাউন শতভাগ কার্যকরী  করতে হলে এখনই জরুরি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একটু কষ্ট করে সবাইকে ৭ থেকে ১০ দিন ঘরে রাখতে পারলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়া, ধান কাটার জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যে  সব শ্রমিক যাবে তাদেরকে প্রশাসনের সহায়তায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট যানবাহনে পাঠাতে হবে এবং প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করে কাজে নামাতে হবে। গার্মেন্টস এখনই চালু করার অনুমতি না দিলে ভালো হতো, এটা চালু করলে আরেকটা মহামারি হতে পারে। যদি একান্তই চালু করতে হয় তাহলে সীমিত সংখ্যক গার্মেন্টস চালু করা যেতে পারে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে কর্মস্থলে আনতে হবে এবং সকল কর্মীর করোনা টেস্ট করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজে নিয়োজিত করতে হবে। প্রশাসনের মাধ্যমে গার্মেন্টসগুলো নিয়মিত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। ইফতার বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়া সঠিক হয়নি বলে মনে হয়। কারণ ইফতার বাজারে শত শত মানুষ ভিড় করবে। গার্মেন্টস এবং ইফতার বাজার করোনা মহামারির জন্য একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র।

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দুইটি টিম গঠন করে একটি টিমকে শুধু প্রতিরোধকমূলক কাজে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অন্য টিমকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার কাজে হাসপাতালগুলোতে দক্ষ জনবলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। যাদের সক্ষমতা আছে শুধু তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে এবং সকল গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য  ঘরে ঘরে বিনামূল্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যা ব, আনসার, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে খাবারের জন্য অথবা অন্য কোনো অজুহাতে ঘর থেকে কেউ বের হবে না এবং না খেয়ে কেউ কষ্ট পাবে না। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, ভারতের কেরেলা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে সফল হয়েছে।)

৬। বাংলাদেশে  প্রচুরসংখ্যক এক্সপ্রেস ট্রেন, স্টিমার, উন্নত মানের হোটেল, আশুলিয়ার ইজতেমা মাঠ,  স্টেডিয়াম, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বেড বর্তমানে অব্যবহিত আছে। এগুলোকে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল অথবা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের সেন্টারে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহ ভাজন রোগী রাখলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

৭। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন রাস্তায়  জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। বিশেষ করে যে সব বিভাগ ও জেলা সংক্রমিত। সকল যানবাহন বাইরে থেকে এসে বাসায়/অফিসে প্রবেশের পূর্বেই গেটের বাইরে চাকাসহ যানবাহন জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং ঘরের বাইরে যারা যাবেন সবাই বাসার মেইন গেটের বাইরে জুতা/ স্যান্ডেল স্প্রে করে জুতা ঘরের বাইরে রাখবেন।

৮। গত ১ মার্চ থেকে যত ব্যক্তি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিমান বন্দর, স্থল বন্দর, নৌ বন্দর, সমুদ্র বন্দর, রেলপথ দিয়ে প্রবেশ করেছে তাদের সবার এবং তাদের পরিবারের করোনা টেস্ট করতে হবে।

৯। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকল তথ্য ডাটাবেইজ তৈরি করে তাদের যাতায়াত, মোবাইল ফোন ট্রেকিং এর মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং বের করে সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত টেস্ট করে আইসোলেশন করা। এ বিষয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারে। 

১০। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত ৩১ দফা কঠোরভাবে পালনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

১১। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আক্রান্তের আশঙ্কাও কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক হিসেবে  প্রতিটি মানুষকে আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ, যষ্টিমধু, কালোজিরা, হলুদ, ত্রিফলা ও তুলসীপাতা জ্বাল দিয়ে  চায়ের মতো সেবন, প্রতি বেলা কুসুম গরম পানি সেবন ও গার্গেল করা এবং  ভিটামিন সি অথবা ভিটামিন সি যুক্ত ফল দিনে দুইবার খেতে হবে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহিদুল্লাহ সিকদার এবং তার চিকিৎসক কন্যা, মো. ফেরদৌস ও চৌধুরী ফারহানা দম্পতি দুজনেই ফার্মাসিস্ট এবং নাইজেরিয়ার গভর্নর সেয়ি মাকিন্দেসহ আক্রান্ত অনেকে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন। এই উপাদানগুলো জেলা প্রশাসক, ইউএনও, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সবার ঘরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

১২। আগামী এক মাসের মধ্যে সকল সক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ১০০০ আইসিইউ বেড ও সরকারের পক্ষ থেকে ১০০০ আইসিইউ বেড ভেন্টিলেটরসহ প্রস্তুত করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০ শতাংশ রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগে, আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া গেলে বেশির ভাগ রোগীকে বাচানো যাবে।

১৩। বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, সেনাবাহিনী  এবং বাংলাদেশের মেডিকেল  যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মিনি ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে। যদি এগুলো কার্যকর হয় তবে তাদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে দ্রুত সময়ে মিনি ভেন্টিলেটরগুলো সংগ্রহ করতে হবে।

১৪। সকল উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর পৃথক বিভাগ খুলে চিকিৎসা প্রদান এবং করোনা রোগীদের হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য পৃথক রাস্তা প্রনয়ণ ও প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।

১৫। পিপিই-সহ সুরক্ষা সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমানে সংগ্রহে রাখতে হবে। না হলে আমেরিকা ও ইতালির মতো চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে পড়তে হবে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান, শূন্য পদে অথবা প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ, অবসর প্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য রিজার্ভ রাখতে হবে।

লেখক: এমডি (মেডিসিন), স্পেশাল ট্রেনিং ইন টিএম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

 

ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়