ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাঠকর্মী থেকে লর্ডসের ব্যালকনিতে!

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১২ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাঠকর্মী থেকে লর্ডসের ব্যালকনিতে!

লন্ডন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করবেন শনিবার।

রোববার এই মাঠেই হবে দ্বাদশ বিশ্বকাপের শিরোপা যুদ্ধ। আইসিসি চাইলে নতুন রীতি চালু করতে পারে। অধিনায়কদের পাশাপাশি এ লড়াইটা তো দুই দলের দুই কোচেরও।

ধরুন, ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বিলিস ও নিউজিল্যান্ডের গ্যারি স্টেড বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে লর্ডসের ইতিহাস সমৃদ্ধ ব্যালকনিতে। নিশ্চিত করে বলা যায়, যদি ওরকম কিছু হয় তাহলে দুই দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নস্টালজিয়ায় ফিরে যাবেন কিউই কোচ স্টেড। আনন্দাশ্রু হবে। কেন?

১৯৯০ সালে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছরের তরুণ স্টেড। মাঠকর্মী হিসেবে স্কোরবোর্ড বিলি, জানালার কাঁচ পরিষ্কার করতেন। সেদিনের সেই তরুণ ২৯ বছর পর লর্ডস মাঠের ধ্রুবতারা।

স্টেড কখনো ভাবতে পেরেছেন ওই মাঠেই একদিন সংবাদ সম্মেলন করবেন কিংবা ওই মাঠেই ক্রিকেটারদের ক্রিকেট পাঠ দেবেন? হয়তো ভাবেননি। কিন্তু জীবন বৃত্তে কত কিছুই না সম্ভব। তাইতো ফাইনালের মঞ্চে নামার আগে স্টেড ফিরে গেলেন তার সোনালী অতীতে, ‘১৯৯০ সালে আমি এখানে মাঠকর্মী ছিলাম। ভাগ্যবান…আমার কাজের মধ্যে ছিল জানালার গ্লাস পরিষ্কার করা, স্কোরকার্ড বিলি করা।’

এক বছর লর্ডসে কাজ করেছেন স্টেড । ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে হয় তার টেস্ট অভিষেক। সাদা পোশাকে ম্যাচ খেলেন ৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি। মনোযোগী হন কোচিং পেশায়। ঘরোয়া দলগুলোর কোচিং করিয়ে নিউজিল্যান্ড নারী দলের কোচ হন। সেখান থেকে ২০১৮ সালে পুরুষ দলের দায়িত্ব পান এই কিউই। শিষ্যদের পারফরম্যান্সের সুবাদে এখন ইতিহাস গড়ার হাতছানি স্টেডের। নিউজিল্যান্ড রোববারের ফাইনালে শিরোপা জিতে গেলে স্টেডও পেয়ে যাবেন অমরত্বের স্বীকৃতি। 

লর্ডসের ফাইনালে পারবে কি নিউজিল্যান্ড? স্টিভের বিশ্বাস, তার দল যেভাবে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে সেভাবে খেলতে পারলে শিরোপা জয় অসম্ভব কিছু নয়, ‘এখানে ফিরে এসে সব সময় ভালো লাগে। এবারের আসাটা স্পেশাল। দল হিসেবে আমরা তিনটি লক্ষ্য নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে এসেছিলাম। দুটি পূর্ণ হয়েছে। এখনো একটি অধরা। আমাদের দলের ৬-৭ জনের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি আমরা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব’- বলেছেন স্টেড। 

বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড ছিল আন্ডারডগ। অথচ তারাই এখন শিরোপার অন্যতম দাবিদার। ইংলিশদের একটি বাজে দিন আর তাদের ভালো দিন পাল্টে দিতে পারে অনেক হিসাব।


রাইজিংবিডি/লন্ডন/১৩ জুলাই ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়