ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কে হবেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৬, ১৪ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কে হবেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক

লন্ডন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: কেন উইলিয়ামসনের সবথেকে দূর্বল জায়গা কোনটি? ফাইনালের মঞ্চে মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এইউন মরগানকে সরাসরি এমন প্রশ্ন করেছিলেন ইংরেজ এক সাংবাদিক। ইংল্যান্ড অধিনায়ক সরাসরি বলেন,‘তার ব্যাক আপ।’

স্টিভ ওয়াহ দুই দশক আগে লর্ডসে শেষ বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন।  অস্টেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের মতে, ইংল্যান্ড যদি উইলিয়ামসনকে থামাতে পারে, ম্যাচ স্বাগতিকদের।  মরগান যেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের পথেই হাঁটছেন।  ইংলিশদের অধিনায়কও মনে করেন, উইলিয়ামসনকে দ্রুত সাজঘরে পাঠাতে পারলে অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। 

দুই অধিনায়কের অধিনায়কত্ব সম্পূর্ণ আলাদা।  ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে হারার পর মরগান পাল্টে দেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে।  খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে নিজের মতো পারফর্ম করতে তাঁতিয়ে দেন।  ব্যাটসম্যানরা পেয়ে যান লাইসেন্স টু কিল এর পারমিশন।  বোলারদের হয়ে উঠতে বলেন ভয়ডরহীন।  তাতে পুরো দল হয়ে উঠে অকুতোভয়।

অন্যদিকে উইলিয়ামসন শান্ত। প্রতিপক্ষকে নিবীঢ় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পছন্দ করেন।  মাঠেও থাকেন ফুরফুরে মেজাজে। নিজেদের পার্থক্য করতে গিয়ে মরগান বলেছেন,‘অধিনায়কত্বের স্ট্রাইলে আমরা দুজনই আলাদা।  একজন অধিনায়কের এটাই সবথেকে বড় দিক যে সে তার নিজস্ব স্ট্যাইল নিয়ে চলাফেরা করে।’

নিজস্ব স্ট্যাইল ধরে রাখার সুবিধার কথাও জানান মরগান,‘আপনাকে অবশ্যই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  যদি আপনি সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে আপনি দলের জন্য যে তথ্য পাঠাবেন কিংবা যেই পরিকল্পনা সাজাবেন তা কাজে আসবে না।  আপনি অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে এবং সদা সজাগ থাকতে হবে।’

হারতে কেউই পছন্দ করে না। উইলিয়ামসনও জিততে পছন্দ করেন। তাই আবেগ সামলে জয়ের দিকে নজর উইলিয়াসনেরও,‘ ‘আমি পরাজয়ের থেকে বিজয় উৎসব করতে পছন্দ করি।  তবে যখন আমি মন থেকে কিছু চাইবো তা পাওয়ার গভীরতা থাকতে হবে।  আপনি সব সময় মাঠ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন। হয় আপনি জিতবেন, নয়তো আপনি হারবেন। কখনো কখনো ফলাফল আপনাকে ‘পিঠ দেখাতে’ পারে কিন্তু আপনাকে বড় শিক্ষা দেবে। সেটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।  সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাবেন।  আপনার দল যদি ভালো প্রেরণা পায় অবশ্যই তারা উপকৃত হবে।’

মাঠে দুই দলের লড়াইয়ের পাশাপাশি স্নায়ুযুদ্ধ হবে কেন উইলিয়ামস ও এউয়ন মরগানের মধ্যে। দুজনই সেরা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  তবে বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের পারফরম্যান্স ছিল আকাশছোঁয়া। ফাইনালেও তার দিকে তাকিয়ে দল। এবারের বিশ্বকাপে ৪০ এর নিচে একবারই আউট হয়েছেন উইলিয়ামসন।  সেটাও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। রোববার তার ব্যাট জ্বলে উঠলে  কপাল পুড়বে ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে মরগান বেশি রান করার সুযোগ পাননি। তবে বিশ্বকাপ রাঙিয়েছেন ভিন্নভাবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসে ১৭ ছক্কা মেরছেন মরগান।  যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। 

দুই দলের দুই অধিনায়ক এখন রঙিন স্বপ্নে বুদ হয়ে আছেন। লর্ডসের ফাইনাল তাদের অপেক্ষায়।  শেষ হাসিটা কে হাসে সেটাই দেখার। আজকের ফাইনালের মধ্য দিয়ে নতুন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব. কেউ কি তা ভেবে দেখেছে?

 

রাইজিংবিডি/লর্ডস/১৪ জুলাই ২০১৯/ইয়াসিন /শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়