স্থায়ী অধিনায়কত্ব নিয়ে কী ভাবছেন মাহমুদউল্লাহ?
রাজকোট থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়েছে ভারত সফরে। মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। মুমিনুল হক পেয়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে অধিনায়ক বেছে নিতে বেগ পেতে হয়নি বিসিবিকে। মাশরাফি, সাকিবের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই আন্তর্জাতিক মঞ্চে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য তার কাঁধে দায়িত্ব দেয়নি বিসিবি। এবার সেই সুযোগটি আছে।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। আগামী নভেম্বরের আগে তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে নির্দিষ্ট একজনের ওপর দায়িত্ব থাকা মানে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা, দীর্ঘ মেয়াদী দল সাজানো এবং সেই মোতাবেক দলকে পরিচালিত করা। ভারত সিরিজের পর বোর্ডের পরবর্তী সভায় নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করা হবে। মাহমুদউল্লাহ নিশ্চিতভাবেই অধিনায়ক প্রার্থীদের একজন। মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও আছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম। তবে নিয়মিত বিরতিতে অধিনায়কত্ব করায় মাহমুদউল্লাহর সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের পর মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও সেদিন ম্যাচের পর প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাহমুদউল্লাহকে, ‘রিয়াদ ভাই অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেছে ম্যাচে। যেভাবে দরকার ছিল, যে স্পিনাররা কার্যকরী হবে, ওভাবেই বোলারদের ব্যবহার করেছে।’
জানা গেছে, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও ম্যাচ শেষে সবার উপস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করেছেন। তাতে মাহমুদউল্লাহ তৃপ্ত হয়েছেন এবং দিল্লিতে জয়ের জন্য সবাইকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে স্থায়ী অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই চিন্তা করছেন না তিনি।
‘এই মুহূর্তে এসব (স্থায়ী অধিনায়ক) নিয়ে আমি খুব একটা ভাবছি না। আর আমি স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী অধিনায়কত্ব নিয়ে খুব একটা অনুভবও করছি না। আমি চিন্তা করি যে আমার এখন যে দায়িত্ব, সেই দায়িত্বটা যেন পালন করতে পারি। দলের পারফরম্যান্সটা যেন আমরা সবাই মিলে সবার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারি। ওটাই আমার দায়িত্ব এবং আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব একশ ভাগের বেশি দিয়ে পালন করতে’- বলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
ড্রেসিং রুমে সাকিব, তামিম নেই। সিনিয়র বলতে আছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার বছর কাটানো সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমান আছেন। আছেন লিটন কুমার দাস এবং একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। তাদের নিয়ে ভালো সময় কাটানো মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ছোট-বড় নয়, দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে নিজের ভূমিকা বোঝাতে পেরেছেন তারা। তাতে দল পেয়েছে সাফল্য।
‘ছোট-বড়র বিষয় না। সবার জন্যই জাতীয় দলে সমান সুযোগ। আমার জন্য যেমন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলা একটা সুযোগ, তেমনটি একজন জুনিয়রের জন্যও। আমরা যখন ড্রেসিং রুমে থাকি তখন এগুলো আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে না। দলে আমরা সবাই এক’- বলেন মাহমুদউল্লাহ।
রাজকোট/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন