ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নুসরাত হত্যা : মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির অবহেলা নেই

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ২৬ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নুসরাত হত্যা : মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির অবহেলা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির ঘটনায় তৎকালীন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি এনামুল করিমের কোনো অবহেলা পায়নি তদন্ত কমিটি।

সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ জুলাই এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সেই অনুযায়ী এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এ বিষয়ে তদন্ত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান ।

প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা জেল হাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পিকে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনসংগত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরিত্য রয়েছে। পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পারিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত ‘এডিএম পিকে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি’ মর্মে দেওয়া বক্তব্যটি যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এর আগে গত ২১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘এডিএম এনামুলের ভূমিকা, পুলিশের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রণালয়ের’শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ৩০ জুন ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ আগস্ট ২০১৯/মেহেদী/ইভা/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়