ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিয়ের নিমন্ত্রণ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিয়ের নিমন্ত্রণ

চিঠি দিও প্রতিদিন...সেই দিনের দেখা পায়নি এ প্রজন্ম। কবুতরের পায়ে বেধে দেয়া চিঠি তো দূরে থাক। হলুদ খামে পিয়ন এসে দোরঘন্টি বাজানোও এখন তারা প্রত্যক্ষ করতে পারেনা।

চ্যাটিং আর মুঠোফোনের এসএমএস-ই এখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই বলে বিয়ের দাওয়াত আদান-প্রদানও হবে এই মারফতে? ঐতিহ্য এভাবেই হারিয়ে যায়? না তরুণ-তরুণীরাই ধারক-বাহক ঐতিহ্যের। প্রমান তো তাব মিলে। তাই বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র ছাপানোতে এতো আবেগমাখা আয়োজন। একটি সুন্দর কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হলে অতিথি সম্মানিত বোধ করেন। সেই সঙ্গে বাড়ির কর্তার রুচি এবং আভিজাত্যও প্রকাশ পায়।

প্রাচীনকালে ঘটা করে বিয়ের দাওয়াতপত্র পাঠানোর রীতি এখন নানা ডিজাইনের বিয়ের কার্ডে এসে ঠেকেছে। উপস্থাপন, আঙ্গিক আর ভাষাও আগের মতো নেই। তবে বেড়েছে এর আড়ম্বর আর নান্দনিকতা। আগে খুব অভিজাত পরিবারের বিয়ের পরিচায়ক ছিল এই কার্ড। আজকাল অনেকেই চান নিজের বিয়ের কার্ডটি সুভ্যেনির হিসেবে রেখে দেওয়ার মতো নান্দনিক হোক।

বিয়ের কার্ডের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন কার্ডের এক ভাগে থাকবে বর-কনের নামধাম, আরেক ভাগে পরিবারের পক্ষ থেকে নিমন্ত্রিতকে বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণবার্তা। সময়ের পরিবর্তনে চারকোনা কার্ডে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য। সৌন্দর্য ও অনন্যতা সৃষ্টি করতে গিয়ে দিনের পর দিন এতে যোগ হচ্ছে বিভিন্ন অনুষঙ্গ। খরচও বাড়ছে।

বিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত উজ্জ্বল সব রঙই ব্যবহার করা হয় এই কার্ডের জন্য। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে লাল, খয়েরি, গাঢ় নীল, গোলাপি- এ ধরনের রঙ। সেই সঙ্গে পাতলা কাগজের আবরণ, রঙিন ফিতাও দেখা যায় কিছু কার্ডে।

নিমন্ত্রণপত্র এক থেকে দুই পাতার মধ্যেই হয়। হেলমেট বোর্ড, সুইডেন বোর্ড, অ্যাম্বুশ বোর্ডে বিয়ের কার্ড করা হয়। একে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজটি সম্পন্ন হয় জরির প্রলেপ, নকশাদার ডিজাইন, ফিতা ও গ্রাহকদের পছন্দ অনুসারে।

কোথায় পাবেন
বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র তৈরির জন্য ঢাকা শহরে সবচেয়ে পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য জায়গা হলো পুরানা পল্টন। ছোট থেকে বড় অনেক প্রতিষ্ঠানই এখানে বিয়ের কার্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছে। তাই পুরানা পল্টনে গেলেই নিজের পছন্দমতো কার্ড অর্ডার করে নিতে পারেন। আজাদ প্রোডাক্টস, আইডিয়াল প্রোডাক্টস বিয়ের কার্ডের জন্য বিখ্যাত। ধানমন্ডির নন্দন কুটির বেশ পরিচিত রুচিশীল বিয়ের কার্ডের জন্য। এ ছাড়া নীলক্ষেত ও বঙ্গবাজার থেকেও কার্ড প্রিন্ট করিয়ে নেয়া যায় পছন্দমতো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়