মুন্সীগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে বিলিন বসতঘরসহ ফসলি জমি, আতঙ্কে শত শত পরিবার
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল এলাকা-সংলগ্ন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ভাঙন শুরু হলে নদী-সংলগ্ন কয়েকশ মিটার এলাকার জমি ও আটটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলন হয়ে যায়। এতে হুমকিতে রয়েছে স্থানীয় শত শত পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ, কবরস্থান, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা।
ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে কয়েক ঘণ্টায় ভাঙন কয়েক’শ মিটার এলাকায় ছড়িয়ে পরে। এতে একে একে বিলিন হয়ে যায় স্থানীয় চারটি পরিবারের আটটি বসতঘর।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্থানীয় আলম শেখের তিনটি, জিয়াসমিন বেগমের একটি, খোরশেদের দুটি ও নূর মোহাম্মদ দেওয়ানের দুটি ঘর ভেঙে পদ্মা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আলম শেখ জানান, হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হলে তার তিনটি বসতঘর একে একে নদীতে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে কয়েকটি ঘরের অংশ কোনো রকমে উঠাতে পেরেছেন।
জিয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঢাকায় কাজ করি, স্বামী নেই। চার সন্তান নিয়ে একটি ঘরে থাকি। গতকাল আসছি ঢাকা থেকে। আজকে আমার ঘর বিলিন হয়ে গেল।’
আরেক নারী বলেন, ঘরের মধ্যে ছিলাম, হঠাৎ ভাতিজা আইসা বলে চাচি নদী ভাঙতাছে। যদি তখন না বাইর হইতাম মা-মেয়ে ঘরের লগে সবাই তলাই জাইতাম।’
ভাঙনে তলিয়ে গেছে খোরশেদ আলমের বসতঘর। তিনি বলেন, এত দ্রুত ভাঙন শুরু হয় যে, ঘরের চালের ড্রামটাও বের করতে পারিনি। সব নদীতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) ইব্রাহিম ঢালী জানান, যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তাতে করে দ্রুত ভাঙন রক্ষায় কাজ না করা হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙন সংলগ্ন এলাকার আশপাশের লোকজন ও বসতঘর সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রতন/আমিনুল
আরো পড়ুন