ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

লকডাউনে অটো রিকশার দখলে গাজীপুরের মহাসড়ক

গাজীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৯ এপ্রিল ২০২১  
লকডাউনে অটো রিকশার দখলে গাজীপুরের মহাসড়ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। গাজীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ। তবে মহাসড়ক থেকে শুরু করে সমস্ত গলিপথ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং সিএনজি চালিত অটো রিকশার দখলে রয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে অধিকাংশ দোকান পাট, শপিং মল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন। তবে সড়ক মহাসড়ক দিয়ে রিকশা, অটো রিকাশা, লেগুনা, প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। অপর দিকে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেন চলাচল না করলেও পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্রেন চলতে দেখা গেছে। 

চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার রিকশা চালক রিয়াজ হোসেন জানান, সড়ক মহাসড়কে প্রচুর পরিমাণে অটো রিকশা দেখা গেলেও অটো রিকশার তুলনায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। 

তিনি বলেন, ‘সকাল ছয়টার রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বেলা একটার মধ্যে মাত্র দুইশ’ টাকার রোজগার করতে পারিনি। তবে বিকালের দিকে গার্মেন্টস ছুটি হলে কিছু আয় হবে।’

অপর চালক বাবুল হোসেন জানান, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচ জনের সংসারে তিনি একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। অটো রিকশা না চালালে সংসার চালানো সম্ভব না। সেহেরি খেয়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন তিনি। বেলা একটা পর্যন্ত তিন শ’ টাকা রোজগার করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও তিনশ’ টাকা আয় করতে না পারলে রিকশার মালিককে তিনশ টাকা রিকশার জমা দেওয়ার পর হাতে কিছুই থাকবে না।

 

শিল্প অধ্যূষিত গাজীপুরে খোলা রয়েছে অন্তত দুই হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা। লকডাউনে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে এসব কারখানায় শ্রমিক আনা নেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা তা মানছেন না। ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে হেঁটে বা অটোরিকশায় কারখানায় যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মানা সম্ভব হচ্ছে না।

একটি পোশাক কারখানার নিটিং অপারেটর শাহিনা বেগম বলেন, ‘বোর্ড বাজারে বাসা। কাজ করি ভোগড়া বাইপাস এলাকার একটি গার্মেন্টসে। যাতায়াতের জন্য কারখানা মালিক কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। তাই নিজেরাই রিকশা ভ্যানে করে গার্মেন্টসে আসি।’ 

তবে কারখানায় প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। হাত ধুয়ে ও মাস্ক পরে কারখানায় ঢুকতে হয় বলে জানান তিনি।

রফিক সরকার/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়