ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাওরে নৌকাডুবি: নিহতদের ৮ জন একই পরিবারের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ৬ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
হাওরে নৌকাডুবি: নিহতদের ৮ জন একই পরিবারের

নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাওরে নৌকাডুবিতে নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার একই পরিবারের আটজন রয়েছেন। ওই গ্রামে এখন মাতম চলছে। 

নিহতরা হলেন, উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মাদ্রাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান মেয়াজ উদ্দিন (৩৮), তার বড় ছেলে মাহবুবুর রহমান আসিফ (১৭), ছোট ছেলে মাহমুদুর রহমান (১৪), ভাগ্নে রেজাউল করিম (১৮), ভাতিজা মো. জুবায়ের হোসাইন (১৯), মো. মুজাহিদ মিয়া (১৪), ভাতিজী লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)। লুবনা ও জুলফা স্থানীয় ইসরাহুল বানাত মহিলা মাদ্রাসার এবং অন্যরা মাদ্রাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।  

বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মদন উপজেলার উচিতপুরের সামনের হাওরের গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দায় নৌকাডুবিতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, সকালে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়ন ও আটপাড়া তেলিগাতী থেকে ৪৮ জন মিনি কক্সবাজার খ্যাত উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে যায়। পরে নৌকায় ঘুরতে গেলে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে সেটি ডুবে যায়। 

মাহফুজুর রহমানের ভগ্নিপতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পরিবারের সকলে আনন্দ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। কে জানতো এটাই তাদের শেষ বিদায়। 

নিহত রেজাউলের মা রেহেনা খাতুন বলেন, ছেলে ছোট থাকতে ওর বাবা গেছে। মামার বাড়িতে থেকে রেজাউল হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো। এরপর কথা বলতে বলতে তিনি জ্ঞান হারান

সিরতা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাহমুদ আল বলেন, দুটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাহফুজুর রহমান। দুই মাদ্রাসায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী আছে। এখন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। মাহফুজুর রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছি।’’ 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়ীদ মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি বর্তমানে মদন উপজেলায় আছেন। মদন থানা থেকে ১৫ জনের লাশ সিরতা ইউনিয়নে পাঠানো হয়েছে। একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। 

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত ১৭ জন ময়মনসিংহের বাসিন্দা। এর মধ্যে গৌরীপুর উপজেলার দুইজন এবং সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের ১৫ জন। 

তিনি জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।

মিলন/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়