সারা বাংলা

কালচারাল কর্মকর্তার জানাজা, দাফন রংপুরে

টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের জানাজা হয়েছে। রোবববার (২৮ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে জানাজা হয়। জানাজার পর লাশ দাফনের জন্য তার বাবার বাড়ি রংপুরে নেওয়া হয়েছে।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ জেলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুরে কুমুদিনি হাসপাতালের একটি ভিআইপি কক্ষ থেকে রেদওয়ানা ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছে।

মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যথা নিয়ে গত ২২ মার্চ কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যা সন্তানটি আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রয়েছে। এ কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালের একটি কক্ষ নিয়ে সেখানে ছিলেন। শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে তার স্বামী মিজান আসেন হাসপাতালে আসেন। বিকেলে হাসপাতালের এক নার্স কক্ষ বাইরে থেকে লক দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকল্প চাবি দিয়ে তালা খুলে কক্ষের ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের বোন রেদওয়ানা কলি দাবি করে, স্বামী মিজান শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে রেদওয়ানা ইসলামকে। মিজানকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, ঘটনার দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

*টাঙ্গাইলে কালচারাল কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক