সারা বাংলা

কোটালীপাড়া কৃষক লীগের কমিটির বিষয়ে তদন্ত কমিটি

মুন্সী মাহফুজ হাসানাত কামরুলকে সভাপতি করে কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষক লীগের কমিটি গঠন করায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ। 

মুন্সী মাহফুজ হাসানাত কামরুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নান মুন্সীর খালাত ভাই ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মুন্সী সরাফত হোসেনের আপন ভাই। উপজেলা কৃষক লীগের একাংশের নেতারা এই কমিটি বাতিলের দাবি করে আসছেন।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম এ ওয়াদুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী ও সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা কৃষক লীগের একাংশ ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মুন্সী মাহফুজ হাসানাত কামরুল একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। কামরুলের খালাতো ভাই জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান। তার আপন বড় ভাই মুন্সী সরাফত হোসেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। সম্মেলন না করে একটি মহল অর্থের বিনিময়ে রাতের আঁধারে গত ৪ এপ্রিল বিতর্কিত এই কমিটি গঠন করেছেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সাংগঠনিক নিয়ম মেনে কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষক লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ সত্য নয়।

তিনি বলেন, নবগঠিত কমিটি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলী বলেন, ‘বর্তমানে আমি অসুস্থ। আমি সুস্থ হওয়ার পরে তদন্ত কাজ শুরু করবো। তদন্তে যদি কারো বিরুদ্ধে অসাংগঠনিক কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা কৃষক লীগের নব নির্বাচিত সভাপতি মুন্সী মাহফুজ হাসনাত কামরুল বলেন, ‘আমার বাবা মুন্সী আবুল কাসেম আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। আমার ভাই মুন্সী এবাদুল ইসলাম উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমার বড় ভাই মুন্সি সরাফত হোসেন কোনো দিন বিএনপি করেননি। জঙ্গিনেতা হান্নান মুন্সি আমার খালাত ভাই। তারা স্বাধীনতাবিরোধী, তাই তাদের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছর ধরে সম্পর্ক নেই। আমি ঢাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।’

*কোটালীপাড়া কৃষক লীগের নতুন কমিটি বাতিল দাবি