সারা বাংলা

ঘর, রিকশা, টাকা পেলেন সেই পঙ্গু মজিদ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাতকুড়ি (বড়চড়া) গ্রামের হাত-পা হারানো আব্দুল মজিদের (৩৫) সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন এগিয়ে এসেছে। প্রায় ৮ বছর আগে ট্রেনে কাটা পড়ে এক হাত ও এক পা হারান তিনি। এরপর থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

‘দু্র্ঘটনায় হাত-পায়ের সঙ্গে স্বপ্নও হারিয়ে গেছে মজিদের’— শিরোনামে জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডিডটকমে গত সোমবার (২ আগস্ট) রাতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আসে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। 

আরও পড়ুন: একটি দুর্ঘটনা, মজিদের সারাজীবনের কান্না 

বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে আব্দুল মজিদকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেকে আনা হয়। এ সময় মজিদকে তার কুঁড়ে ঘরটি মেরামতের জন্য ৩ হাজার টাকা ও টিন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় এবং একটি চার্জার রিকশা ও সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর-এ আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, অসহায় পঙ্গু আব্দুল মজিদকে উপজেলায় তার পরিবারসহ ডেকে আনা হয়। আপাতত তার কুঁড়ে ঘরটি মেরামতের জন্য ৩ হাজর টাকা ও এক বান্ডিল টিন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মজিদের নিজের জায়গা বা ঘর নেই, তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। তাই তার জন্য সরকারি ঘর এবং সংসার চালানোর জন্য একটি দোকান বা চার্জার রিকশা দেওয়া হবে।’ 

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘আব্দুল মজিদ একজন অসহায় পঙ্গু মানুষ। আমরা সবাই তার পাশে দাঁড়িয়েছি। উপজেলার পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, রাইজিংবিডিকে ধন্যবাদ জানায় এ ধরনের অসহায় মানুষকে নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য। 

টাকা, টিন, সরকারি ঘর, রিকশা আর খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমি সব হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কেউ আমার খোঁজ-খবর নিতো না, কারও কাছে গেলে মুল্যায়ন করতো না। আজ আমি অনেক সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি।’