সারা বাংলা

জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা সহস্রাধিক পর্যটক 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল ও ৩নং সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিনে রোববার ও সোমবার জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।    শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।

প্রতিদিন ৮টি জাহাজে করে ৪ হাজারেরও অধিক পর্যটক টেকনাফ প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়। জাহাজগুলোর মধ্যে ৬টি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, ১টি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন এবং আরেকটি চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে রওনা দেয়।

ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘আবহাওয়া খারাপ এবং সমুদ্রবন্দরে ৩নং সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রোববার (৫ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছাড়বে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি যতদিন ভাল হচ্ছে না ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। 

টেকনাফ সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, শনিবার সমুদ্রবন্দরে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় জাহাজ কর্তৃপক্ষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৫৪টি আবাসিক হোটেলে বর্তমানে সহস্রাধিক পর্যটক রয়েছে, যারা ফিরে যেতে পারেনি। কারণ সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজ ছাড়ার পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে জাহাজ বন্ধের ঘোষণা আসে। এতে পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকতে হবে। 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ৩নং সতর্ক সংকেতটি কেটে যেতে দুয়েকদিন সময় লাগবে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।