সারা বাংলা

শেবাচিমে ইন্টার্নদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

দেড় ঘন্টা পর  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানাগেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক কলেজ ছাত্রের স্বজনদের হামলার প্রতিবাদে ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবীতে ওই হাসপাতালের সব গেট বন্ধ করে রাত ৯টার দিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: মো: রাকিন আহম্মেদ খান বলেন, দুপুরে রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে সার্জারী ১ ইউনিটে ডাক্তারদের রুমে হামলা চালায়।

এসময় দুই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীতাহানির চেষ্টা করা হয়। আমরা হাসপাতাল থেকে বের হলে আমাদের উপর হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। আমরা নিরাপত্তার দাবীতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গিয়েছি। আমাদের কাজ ততক্ষন পর্যন্ত বন্ধ রাখবো যতক্ষন না  হামলাকারিদের গ্রেপ্তার না করা হয়। তবে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এসে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ন্যায্য বিচারের বিষয়ে।

এর আগে, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে সব গেট আটকে বিক্ষোভ করায় ভোগান্তিতে পড়া রোগীর স্বজন মফিজুল ইসলাম বলেন, বরগুনা থেকে আমার মাকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালে ঢুকতে পারছি না। গেট আটকে রেখেছেন ইন্টার্নরা। শুধু আমরাই নয়, অনেক রোগী এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের উপর হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে একজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মেয়র মহোদয়ের আশ্বাসে ইন্টার্নরা ধর্মঘট থেকে তুলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদের মৃতদেহ হস্তান্তর না করায় ও তার স্বজনদের উপর হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ করেছেন রিয়াদের স্বজন ও সহপাঠিরা।

*** শেবাচিমে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ