সারা বাংলা

পোশাক দেখে সন্তানরা মনে করছেন মরদেহটি রহিমা বেগমের

ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় উদ্ধার হওয়া এক নারীর মরদেহের একটি পোশাক দেখে খুলনায় নিখোঁজ গৃহবধূ রহিমা বেগমের (৫২) সন্তানরা লাশটি তাদের মায়ের হতে পারে বলে ধারণা করছেন।

ফুলপুর থানা পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশটি রহিমা বেগমের অথবা অন্য কারও কিনা তা বলা সম্ভব হবে। এর আগে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব না।

এদিকে, খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানা পুলিশ এবং মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রহিমা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিখোঁজ গৃহবধূ রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ স্বজনরা ফুলপুর থানায় অবস্থান করেন। এ সময় মরিয়ম মান্নান গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা এক নারীর গলিত মরদেহের চারটি পোশাকের মধ্যে একটি সালোয়ার তার নিখোঁজ মায়ের বলে মনে করছেন। তবে বাকি তিনটি পোশাক সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি। ফলে বলা যাবে না, ফুলপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়া নারীর লাশ রহিমা বেগমের। উদ্ধার হওয়া লাশটি ডিএনএ টেস্ট করানো হবে। এর পরেই শনাক্ত করা যাবে লাশটি আসলে কার।

আরও পড়ুন: আমরা শুধু মাকে চাই

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মরিয়ম মান্নানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার ভাই মো. সাদীকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।

এদিকে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘লাশটি পচা গলা অবস্থায় পেয়েছেন তারা। আমি অফিসিয়াল প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার মায়ের কপাল, আমার মায়ের হাত, আমার মায়ের শরীর আমি আমি কিভাবে ভুল করি।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র।’ পরে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আর কারো কাছে আমি যাবো নাহ! কেউকে আর বলবো নাহ আমার মা কোথায়! কেউকে বলবো নাহ আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন! কেউকে আর বিরক্ত করবো নাহ! আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি।’

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে জেনেছি। তবে ফুলপুর থানা থেকে এ বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। ঘটনার পরের দিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।