সারা বাংলা

আঁখিমনির লাশ উদ্ধার 

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে আট দিন আগে  ‘অপহৃত’ শিশু আঁখিমনির (১০)  লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে পাহাড়তলী থানার তারারপুকুর পাড় এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পিবিআই। 

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পিবিআই জানায়, ডোবা থেকে বস্তাবন্দী শিশু আঁখিমনির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবজি ব্যবসায়ী রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত  কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে।   

আরও পড়ুন: শিশু আঁখিমনি অপহরণ: মামলা নিতে আদালতের নির্দেশে

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহানের আদালতে বিড়াল ছানা এনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবিদা সুলতানা আয়নীকে প্রকাশ আঁখিমণিকে অপহরণ  করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন শিশুটির মা বিবি ফাতেমা। মামলায় স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেলকে অভিযুক্ত করা হয়।  

আদালত মামলাটি পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- আাঁখিমনি নগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন। তার মা এবং বাবা দুজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কয়েকদিন আগে আঁখিমনি তার মাকে জানায়, স্কুলে তার এক বান্ধবী বিড়াল ছানা কিনেছে। ওই সময় তিনি তার মাকে অনুরোধ করেন, তাকেও যেন একটি বিড়াল ছানা কিনে দেওয়া হয়। বেতন পেলে বিড়াল ছানা কিনে দেবেন বলে মেয়েকে জানান তার মা। সেসময় আঁখিমনি তার মাকে জানান রাস্তার এক তরকারি বিক্রেতা বিড়াল ছানা এনে দেওয়ার কথা বলেছে। এরপর ওই তরকারি বিক্রেতার কাছে যেতে নিষেধ করেন আঁখিমনিকে তার মা। 

এ ঘটনার কয়েকদিন পর গত ২১ মার্চ আঁখিমনি স্কুলে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার দিন এবং তার আগের দিন ভুক্তভোগীকে মামলার অভিযুক্ত রুবেল নামের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।