নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে মারা যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২ জুন) মধ্যরাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের গোপাল বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে দাদা নুরুজ্জামানের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
পুলিশ জানায়, মারা যাওয়া সাইফুল নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন্স মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফ্রিজিং ভ্যানে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় দাদা নুরুজ্জামানের কবরের পাশে।
মারা যাওয়া সাইফুল চরশাহী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির সন্তান। তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
সাইফুলের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু সন্তানের লাশ। সেই লাশ আমাকে কাঁধে নিতে হয়েছে। সাইফুলকে হারিয়ে আমদের সব শেষ। এখন কবর তার চিরস্থায়ী ঠিকানা।”
নিহত সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাইফুলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এসপি আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, “সাইফুল ছিলেন কর্তব্যপরায়ণ, সৎ ও সাহসী। তার আত্মত্যাগ আমাদের পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্বের ও চিরস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে। আমরা তার পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব।”
গত ৩১ মে (শুক্রবার) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে আটকে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারে থাকা ৩৯ জনের মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে মারা যান গিয়াস উদ্দিন ও রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুন। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার বিকেলে ভেসে ওঠে কনস্টেবল সাইফুলের মরদেহ নোয়াখালীর চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ওই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ এক শিশু।