ক্যাম্পাস

‘মা’কে নিয়ে গল্প লিখে পুরস্কার পেলেন বাকৃবির হাসিবুর

মা দিবস উপলক্ষে পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম ‘আমার মা’ বিষয়ে গদ্য-গল্প লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাকে নিয়ে তাদের অনুভূতি লিখে পাঠান। সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ৩৮টি গল্প গত ১১ মে মা দিবসে রাইজিংবিডিতে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গল্পগুলো থেকে সেরা তিনটি গল্প বাছাই করেন বিচারকগণ।

বিচারকদের রায়ে প্রতিযোগিতায় সেরা লেখক নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বায়োটেকনোলজি ইন্সটিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর রহমান। তার গল্পের শিরোনাম ছিল ‘ওষুধ লাগবে না, সকালে ছেলের টাকা পাঠানো লাগবে’। পুরস্কার হিসেবে তাকে রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা সমমূল্যের বই উপহার দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বিজয়ীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিজয়ী শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান রনি, সিনিয়র সদস্য তানিউল করিম জীম, রাইজিংবিডির বাকৃবি সংবাদদাতা  মো. লিখন ইসলামসহ বিজয়ী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। 

পুরস্কার পেয়ে হাসিবুর বলেন, “কিছু কিছু গল্প সত্যিই আমাদের অনেক কাছের কিছু অনুভূতি তুলে ধরে। বিশেষ করে আমাদের মা, যারা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, তারা আমাদের অনেক কাছের মানুষ। এই গল্পটি আমার জীবন থেকে নেওয়া। সব গল্প তো কখনো মা-বাবাকে মন খুলে বলা হয় না। আমাদের ভালোবাসার কথা, মনের আবেগের বিভিন্ন কথা না বলাই থেকে যায়।”

তিনি বলেন, “গল্পটি আমি অনেক আগে নোটপ্যাডে লিখে রেখেছিলাম। পরে রাইজিংবিডি মা দিবসে গল্প-গদ্য লেখার প্রতিযোগিতা প্রচার করলে আমি লেখাটি ওখানে পাঠিয়েছিলাম। সারাদেশের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার পাওয়া এটা অনেক গর্ব করার মত একটা বিষয় ।  আমি আমার মাকে গর্বিত করতে চাই। আমার পথচলায় পরিবারের সব সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ। এ রকম একটা প্রতিযোগিতায় আমাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাইজিংবিডিকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”

ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, “সারা বাংলাদেশ থেকে মায়ের জন্য গল্প লেখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেখান থেকে পুরস্কৃত হওয়া অনেক গর্বের বিষয়। এটি আমাদের জন্য এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গৌরবের। বিশেষ করে সে যেহেতু  আমার ছাত্র, আমিও গর্বিত এবং আমার বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট এটা নিয়ে গর্ব করতে পারে।”

তিনি বলেন, “আমাদের মনে অনেক কথা থাকে, অনেক অনুভূতি থাকে। সেগুলো প্রকাশ করে মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেওয়া এটা কিন্তু কঠিন কাজ। সেজন্য আমি আমার ছাত্রকে অভিনন্দন জানাই । এছাড়াও যারা পুরস্কৃত করেছে তাদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে আমার ছাত্রকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে এবং আমাদেরকে  সম্মানিত করেছে। আমি আশা করি, যেসব মা বেঁচে আছেন, তারা সুখে থাকুক এবং যারা পরকালে চলে গেছেন, তাদেরও যেন আল্লাহ জান্নাতবাসী করেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমি রাইজিংবিডিকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কারণ তারা মা দিবসে মায়ের সম্পর্কে গল্প লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। এটি অবশ্যই একটি ভাল কাজ। আমি আশা করব, তারা যেন এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন সামনে আরো করে।”