বিনোদন

‘ধর্মেন্দ্রর মতো সুদর্শন পুরুষকে কে না চুমু খেতে চায়?’

বলিউডের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজমি। ধর্মেন্দ্রর বয়স এখন ৮৭, আর শাবানা আজমির ৭২ বছর। কিন্তু এ বয়সেও অভিনয় করছেন তারা।

শুধু তাই নয়, একেবারে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করতেও পিছপা হননি ধর্মেন্দ্র-শাবানা। করন জোহরের ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় এ জুটির চুম্বন দৃশ্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়। কয়েক দিন আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন ধর্মেন্দ্র। এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন শাবানা আজমি।

জুম টিভির সঙ্গে আলাপকালে শাবানা আজমি বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি এটা নিয়ে এতটা হইচই হবে। আমরা যখন চুমু খাই দর্শক তখন উল্লাস করেন। এ দৃশ্যের শুটিং করতে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। এটা সত্য যে, আমি অতীতে পর্দায় খুব বেশি চুমু খাইনি। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর মতো সুদর্শন পুরুষকে কে না চুমু খেতে চায়?’

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য দেখে আপনার স্বামী জাভেদ আখতারের প্রতিক্রিয়া কী? এ প্রশ্নের জবাবে শাবানা আজমি বলেন, ‘‘এটা নিয়ে সে বিরক্ত হয়নি। কিন্তু আমার উশৃঙ্খল আচরণ তাকে বিরক্ত করেছে। পুরো সিনেমা জুড়ে আমি করতালি, শিস বাজিয়েছি, চিৎকার করেছি। সে আমার পাশে বসা ছিল। সে বলেছিল, ‘আমি এই মহিলাকে চিনি না।’’ 

আরো পড়ুন: ৮৭ বছর বয়সে চুম্বন দৃশ্য, মুখ খুললেন ধর্মেন্দ্র   

এ সিনেমার গল্পে আলিয়া ভাট বাঙালি, আর রণবীর সিং পাঞ্জাবি। স্বাভাবিক কারণে সামাজিক-সংস্কৃতিগত কিছু তফাত তাদের রয়েছে। এসব বিষয় রকি আর রানি অর্থাৎ আলিয়া-রণবীরের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু দুই পরিবারকে তাদের বিয়ের জন্য রাজি করাতে চান তারা। আর তাতে বাধে বিপত্তি। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে গল্প।

সিনেমাটিতে রণবীর সিংয়ের দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। আর আলিয়া ভাটের দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি। আলিয়া ভাটের বাবা-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার চূর্ণি গাঙ্গুলি এবং টোটা রায়চৌধুরী।

গত ২৮ জুলাই ভারতের ৩ হাজার ২০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসেও ভালো সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।