জাতীয়

ইউএস-বাংলার বিমানের জরুরি অবতরণ : তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহ্উদ্দিন এম রহমতুল্লাহর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে নিশ্চিত হবে, কী কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর- বিএস ১৪৩) চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে? বুধবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ১৪১-এর। যথারীতি কক্সবাজারের আকাশে গিয়ে অবতরণের প্রস্তুতি নেন পাইলট। তখন পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে বিমান কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করছে, এমন ঘোষণা দেওয়া হয় যাত্রীদের। কিন্তু ল্যান্ডিংয়ের জন্য ল্যান্ডিং গিয়ার অ্যাক্টিভ করতেই পাইলট সঙ্কেত পান বিমানের পেছনের চাকা খুললেও সামনের চাকা খুলছে না। পাইলট বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সামনের চাকা খুলতে ব্যর্থ হন। এরপর পাইলট কক্সবাজারের পরিবর্তে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সামনের চাকা ছাড়াই বিমান জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এই জরুরি বার্তা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। বার্তা পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে রানওয়ে ফাঁকা করা হয়। তলব করা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস বিভাগের চারটি ইউনিটের ছয়টি গাড়ি, বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি উদ্ধারকারী দল দ্রুত প্রস্তুতি নেয়। শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পরই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান বিমানবন্দরে। পড়ুন

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১৮/মাকসুদ/রফিক