জাতীয়

লকডাউনের প্রথমদিন: আব্দুল্লাহপুর টু মিরপুর

সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর সকালটা শুরু হয় অন‌্যদিনের চেয়ে ব‌্যতিক্রম।  সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন।  সড়কে বাস দেখা যায়নি। তবে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার আধিক্য ছিল। চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও।  

সকাল ৯টায় আব্দুল্লাহপুরে গিয়ে দেখা যায়, অফিস ও বিভিন্ন গন্তব‌্যে যেতে লোজনের প্রচণ্ড ভিড়। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশায় যাচ্ছেন।  বেশির ভাগ মানুষই কর্মস্থলে যেতে দাঁড়িয়ে আছেন গাড়ির অপেক্ষায়।  এ সময় বারডেম হাসপাতালে যেতে গাড়ির  অপেক্ষা করছেন নজরুল ইসলাস।  তিনি বলেন, সিএনজি তো অনেক ভাড়া চাচ্ছে। ৬০০ টাকা চায়।  এত টাকা দিয়ে কীভাবে যাবো?

পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। ছবিটি আব্দুল্লাহপুর থেকে তোলা (ছবি: রাইজিংবিডি)

সকাল সাড়ে ৯টায় বিমানবন্দর সড়কে দেখা যায় একই চিত্র।  চাকরিজীবী মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছে দেখা গেছে অধিকাংশ অফিসগামী মানুষকে। 

সকাল ১০টায় মিরপুর-১২ নম্বরে গিয়ে দেখা যায়, কোনো পরিবহন না পেয়ে হেঁটেই অনেকে অফিস যাচ্ছেন।  বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত রিপন উদ্দিন।  তিনি বলেন, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিগুণ ভাড়া নিচ্ছে।  তাই হেঁটেই যাচ্ছি।

লকডাউনের প্রথম দিন। ছবিটি বিমানবন্দর থেকে তোলা (ছবি: রাইজিংবিডি)

সাড়ে ১০টায় মিরপুর-১ নম্বরে দেখা যায়, রাস্তায় প্রচুর রিকশা চলছে।  এখানে দায়িত্ব পালনরত একজন ট্রাফিক কনস্টেবল জানান, লকডাউনের প্রথম দিন চলছে।  স্বাস্থ‌্যবিধি মানতে সবাইকে আমরা সচেতন করছি।

আরও পড়ুন: মিরপুরে লকডাউনের প্রথম সকাল

                   দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে অফিস যাত্রীরা