মিরপুরে লকডাউনের প্রথম সকাল
তাসলিমা পারভীন বুলাকী || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: শামীম আল মোস্তাসিম সৌরভ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন সকালে সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় চরমভাবে উদাসীনতা দেখা গেছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর ১৩ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ)-এর আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, গার্মেন্ট শ্রমিকরা দল ধরে যাচ্ছেন। এ সময় কেউই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেননি। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেরই তা ছিল না। অনেকের আবার মাস্ক থাকলেও তা নাকের নিচে বা থুতনিতে পরে ছিল।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করের আশেপাশের সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও প্রাইভেট, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশা ছিল বেশ। অল্প কিছু অফিসের স্টাফ বাসে করেও যাত্রীদের বিভিন্ন জায়গাতে যেতে দেখা গেছে। ভাড়ায় চালানো রাইডারাও বাইক নিয়ে রাস্তায় যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু রাইডারদের কারো মুখে মাস্ক ছিলো না। রিকশাচালক আর পথচারীদের মাঝেও মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা দেখা গেছে। এক রিকশায় তিন যাত্রী নিয়ে যেতে বেশ কয়টা রিকশা দেখা গেছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখা গেছে অনেককে। অনেকেই ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন মনের সুখে।
কথা হয় বিআরটিএ’র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রেশমা বেগমের সঙ্গে। বোনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় তাদের দুই বোনেরই মাস্ক ছিল না। করোনাভাইরাসের এই জটিল সময়ে মাস্ক না পরে বাইরে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থকে উঠে আসছি তো, মনে ছিল না। সামনে দিন বের হলে অবশ্যই পরবো।’
মাস্ক থুতনিতে রেখে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন রিকশাচালক জয়নাল মিয়া। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে দম বন্ধ হয়ে আসে, তাই একটু রাখছি। যাত্রী পেলেই নাকে উঠায়ে দিবো।’
রাস্তায় কোথাও কোনো ব্যারিকেড নেই।এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও তেমন চোখে পরেনি।
ঢাকা/বুলাকী
আরো পড়ুন