জাতীয়

ব্যস্ত সড়কে নিরাপত্তা নেই কেন, প্রশ্ন বেঁচে যাওয়া হৃদয়ের

বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরছিলেন বাসায়। পথে উত্তরায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে নিহত হন পাঁচ জন। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নিহতদের লাশ হস্তান্তরের সময় বেঁচে যাওয়া হৃদয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার, প্রশাসন কোথায়? এত ব্যস্ততম একটা সড়কে এভাবে তারা কাজ করছে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই। আজ আমার গাড়ির ওপর পড়েছে, না হলে গার্ডারটি অন্য কারও গাড়ির ওপর পড়তে পারতো। এ দায়ভার কে নেবে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন এর যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। আমাদের মতো যেন এ পরিণতি অন্য কোনো পরিবারে না হয়।

স্বজন হারানো হৃদয় আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি পায়ে এবং কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। আমার স্ত্রীও ব্যথা পেয়েছে। সে  মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনায় তার মা মারা গেছেন। আমার বাবাও মারা গেছেন। বাবাকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে। কিন্তু যাদের জন্য এ দুর্ঘটনা তাদের কি কোন দায়ী নেই? তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। তাদের যদি শাস্তি না হয় তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা অহরহ ঘটবে। এজন্য প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসিম উদ্দিন রোডে ক্রেন দিয়ে গার্ডারটি সরানো হচ্ছিল। এ সময়ে রাস্তায় চলাচলকারী একটি প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডারটি পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থল পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল নবদম্পতি

এক্সক্যাভেটর দিয়ে সরানো হলো ১৫০ টন ওজনের গার্ডার

ঢাকায় বিআরটি প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ: মেয়র আতিক

উত্তরা ট্র্যাজেডি: তদন্ত প্রতিবেদন জমা

ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাচ্ছি না: বিআরটি এমডি

ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত