বিনোদন

ভালো নেই সালমানের প্রিয় মতি, পাশে দাঁড়ালেন বিপ্লব

নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ অভিনীত ‘স্নেহ’ সিনেমার প্রোডাকশন বয়ের কাজ করেন মতি। মতির বয়স তখন ১২ বছর। প্রথম দিন পানি দিতে গেলে নাম জানতে চান সালমান শাহ। সেদিনই এই নায়কের সঙ্গে মতির প্রথম আলাপ। এরপর থেকে মতিকে সঙ্গেই রাখতেন সালমান শাহ।

অমর নায়ক সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন মতি। করোনার এই দুর্দিনে সালমান শাহর অভাব আরো গভীরভাবে অনুভব করেন মতি।

মতির এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েকে কোরআন শিখিয়েছেন সালমান শাহর কবর জিয়ারত করার জন্য। কিন্তু দৈন্যদশার জন্য সিলেটে গিয়ে কবর জিয়ারত করার ক্ষমতা নেই তার। বাসা ভাড়া দিতে না পারার কারণে ঢাকায় থাকাও অনিশ্চিত। এমন খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়ালেন কোল এনার্জি কোম্পানি জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেদী হাসান বিপ্লব। সালমান শাহর মৃত্যু দিনে সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত মতি।

মতি রাইজিংবিডিকে বলেন, করোনার শুরু থেকে আমি খুব সমস্যায় আছি। আমার সমস্যার কথা শুনে বিপ্লব স্যার আজ সকালে তার অফিসে ডেকে এনে টাকা দেন। আর বলেছেন, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটে গিয়ে ভাইয়ের (সালমান শাহ) কবর জিয়ারত করতে। এই সহযোগিতা আমি সালমান ভাইয়ের জন্যই পেয়েছি। আগামীকাল সিলেট যাব কবর জিয়ারত করতে। যে সহযোগিতা পেয়েছি তাতে আপাতত বাড়িটি ছাড়তে হচ্ছে না।

মতির ১১ বছর বয়েসি মেয়ে আকলিমা মিম আর ৭ বছর বয়েসি ছেলে ইসমাইল হোসেন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। মেহেদী হাসান বিপ্লব রাইজিংবিডিকে বলেন, আমার প্রিয় নায়ক সালমান শাহর একজন স্নেহের মানুষ অর্থাভাবে আছে, এটা আমি গতকাল শুনেছি। এর পরই তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই।

মতি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এফডিসিতে পা রাখেন। বয়ের কাজ করে কোনোমতে চলে তার সংসার। মতির বয়স এখন ৩৭ বছর। পরিবার নিয়ে মগবাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।