খেলাধুলা

টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা মুমিনুলের

নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকের পর মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না তিনি। এ বিষয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুলকে জানিয়ে দিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুলের বাসভবনে বৈঠক করেন মুমিনুল। এ সময় তিনি নেতৃত্বে না থাকার সিদ্ধান্তটি জানান। মুমিনুল চান, এবার নতুন কেউ দায়িত্ব নিক। 

বিসিবি সভাপতিকে কী সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এই প্রশ্নে সাংবাদিকদের মুমিনুল বলেন, 'বললাম যে শেষ কয়েকটা সিরিজ অধিনায়ক হিসেবে অবদান রাখতে পারছি না। আমার কাছে মনে হয় এই সময় টিমকে উজ্জীবিত করতে পারছি না। মনে হয় এ সময় নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া ভালো। আপাতত এ কথাগুলো বলে এসেছি। আমিতো বলেছি, এখন উনাদের ব্যাপার, কী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা জানেন।’

ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে নেতৃত্ব ছাড়ছেন মুমিনুল, 'আপাতত আমি চাচ্ছি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে, আমার জন্য এটাই ভালো। সামনে বোর্ড মিটিং আছে, ওখানে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।'

সাকিব আল হাসান ফিক্সিংয়ের বিষয় গোপন করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে হুট করে টেস্ট নেতৃত্ব পান মুমিনুল। এরপর তার ব্যাটের দ্যুতি কমতে থাকে। 

পড়ুন: অধিনায়ক মুমিনুল পারছেন না!  

অধিনায়ক হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭ ইনিংসে ৪১.৪৮। অধিনায়কত্ব পাবার পর ১৭ টেস্টে ৩১.৪৪ গড়ে করেছেন ২ ফিফটি আর ৩ সেঞ্চুরিতে মাত্র ৯১২ রান। তার ৫৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট রান ৩৫২৫। মোট ১১টি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল অধিনায়ক হওয়ার পর পেয়েছেন মাত্র ৩টি। এই সময়ে ডাক মেরেছেন ছয়বার। শেষ ৮ ইনিংসে দুই অঙ্কের রানের ঘরই পার হতে পারেননি। এই সময়ে তার ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৯ রান।

রান খরায় থাকলে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন জানিয়ে মুমিনুল বলেন, 'দেখেন যখন আপনি ভালো খেলবেন, দল খারাপ করলেও উজ্জীবিত করতে পারবেন। আমিও ভালো খেলতে পারছি না, দলও ভালো করছে না। এই সময়ে অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন।'

মুমিনুলের নেতৃত্বে ১৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে মাত্র তিনটি ম্যাচে জয় পায় দল। বিপরীতে দুটি ড্র আর ১২টি হার দেখে বাংলাদেশ।