সারা বাংলা

মেঘনায় ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারে অগ্রগতি নেই

ভোলার মেঘনায় তলাতুলি পয়েন্টে জ্বালানি তেলবাহী ডুবে যাওয়ায় কার্গো জাহাজ এমভি সাগর নন্দিনী-২ উদ্ধার কাজে ৬ দিনেও নেই  দৃশ্যমান অগ্রগতি। কবে নাগাদ জাহাজটি উদ্ধার হবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক মো. শাজাহান জানান, ঘন কুয়াশা এবং জোয়ার-ভাটার কারণে জাহাজ উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। জাহাজটিকে পানির তলদেশ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

বিআইডব্লিটিএ জানিয়েছে, কোস্টগার্ড ও মালিক পক্ষের যৌথ প্রচেষ্ঠায় ৫৫ সদস্যের একটি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ দিনে ডুবে যাওয়ায় জাহাজের পানির তলদেশে দুটি সিলিং মেশিন বসাতে সক্ষম হন তারা। এখনও সেখানে আরও দুটি সিলিং বসানোর চেষ্টা করছে উদ্ধাকারীরা। এরপর সেন্টারিং করে উদ্ধারকারী জাহাজ জোহুর ও হুমায়ারি দিয়ে টেনে তোলা হবে ডুবে যাওয়া জাহাজটি।

পদ্মা ওয়েল কেম্পানির ডিজিএম আসিফ মালেক জানান, খুব দ্রুত জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে সাড়ে ১১ লাখ ডিজেল ও অকটেন ছিলো। এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার আকিফ খান রিদম জানান, সাগর নন্দিনী-২-এর নির্গত তেল যেন পানিতে মিশে পরিবেশ দূষণ করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ল্যামর সংযোজিত অত্যাধুনিক বোটের সাহায্যে পানি থেকে তেল অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে সময় যত বাড়ছে ঠিক ততই ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের আশংকা করা হচ্ছ।  পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের তেল পানিতে মিশে গেছে, আমরা পানির  নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন আসতে আরও ৫ দিন সময় লাগবে। তখন বলা যাবে ক্ষতির পরিমাণ।

এদিকে এ ঘটনায় আলাদা পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে চাঁদপুর ও ঢাকার  উদ্দেশে রওনা দেয় পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কার্গো জাহাজ সাগর নন্দিনী-২। ঘন কুয়াশার কারণে জাহাজটি ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী পয়েন্টে নোঙ্গর করে থাকা অপর একটি জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যায়।