সারা বাংলা

কেসিসি নির্বাচন: প্রচারণায় উৎসবের আমেজ

প্রতীক নিয়ে আটঘাট বেঁধে প্রচারণায় নেমেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শুক্রবার প্রতীক পাওয়ার পর কেউ কেউ স্বল্প পরিসরে গণসংযোগে নামলেও শনিবার (২৭ মে) সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। নির্বাচন জিততে প্রার্থীরা ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক আজ (শনিবার) সকালে নগরীর রূপসা এলাকার পাইকারি মাছ বাজার, কাঁচা বাজার, রূপসার মোড় ও আশপাশের এলাকায় গণসংযোগের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে নগরীর ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের গল্লামারী ও আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। এছাড়া সোনাডাঙ্গা ও নগরীর নিউমার্কেট এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালান। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়ালকে হাতপাখা ও জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে নানা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। 

মহানগরীর দৌলতপুরে প্রচারণা চালান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল

তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে, আমরা সেই রায় মেনে নেব। এর আগেও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমি পরাজিত হয়েছিলাম, তা মেনে নিয়েই এ অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছি। খুলনা শহরের উন্নয়ন হয়েছে, তবে তা দৃশ্যমান হতে আরও প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলে খুলনা হবে তিলোত্তমা নগরী। এরপর আরও দেড় হাজার কোটি টাবার কাজ হবে।’

জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু জানান, এতো দিনেও নগবাসী সঠিক নাগরিক সেবা পাননি। তাই আমি বিজয়ী হলে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, যদি আওয়ামী লীগ সরকার চায়, তাহলেই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর যদি তারা সেটা না চায়, তাহলে হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে চার প্রার্থী, ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। 

এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে এই সিটি করপোরেশনে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এসব ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। 

খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। আগামী ১২ জুন এই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে।