খেলাধুলা

ক্রিকেট গ্রেটদের অভিনন্দন বার্তায় ভাসছে উইন্ডিজ

শামার যোসেফের অসাধারণ বোলিংয়ে ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুধু তাই নয়, দিবা-রাত্রির এই টেস্ট জিতে তারা সিরিজও হারও এড়িয়েছে।

চোখ ধাঁধানো লড়াইয়ের পর অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের গ্রেটদের প্রশংসা বার্তায় ভাসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও তাদের ক্রিকেটাররা।

তাদের অভিনন্দন জানিয়ে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘শামার জোসেফের ৭ উইকেট শিকারের অসাধারণ স্পেলটি টেস্ট ক্রিকেটের দৃঢ়তা ও নাটকীয়তাকে তুলে ধরে। এটি এমন একটি ফরম্যাট যেখানে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয় এবং একজন খেলোয়াড়ের আসল প্রতিভা দেখা যায়। ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়ের চিত্রনাট্যের মূল স্থপতি শামার।’

ইয়ান বিশপ লিখেন, ‘শামার যোসেফ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কি দারুণ এক স্মরণীয় মুহূর্ত। স্মরণীয় একটি টেস্ট জয়। যেটা অনেকদিন আমার মনে থাকবে।’

টম মুডি লিখেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কি অসাধারণ ও বিশেষ পারফরম্যান্স। তারা দেখিয়েছে র’ট্যালেন্ট ও লড়াই করার মানসিকতা দিয়ে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিও উতরে যাওয়া যায়। অভিনন্দন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

হার্শা ভোগলে লিখেন, ‘ব্রিসবেনে কি ফলটাই না হলো! কখনো কাউকে হেয় করতে নেই। বাতিলের খাতায় রাখতে নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তাদের চমৎকার প্রতিভাবান নতুন তারকা শামার যোসেফের জন্য ভালো লাগছে। আমি আশা করি ক্যারিবিয়ানের অনেক অনেক তরুণ ছেলে-মেয়েরা এটা দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে গর্ববোধ করবে এবং দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত হবে।’

ওয়াসিম জাফর লিখেন, ‘স্যালুট শামার যোসেফ। স্যালুট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট।’

এবি ডি ভিলিয়ার্স লিখেছেন, ‘শামার যোসেফ রূপকথা। বিশেষ দৃশ্য।’

ফাফ ডু প্লেসিস লিখেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য দারুণ এক জয়। টেস্ট ক্রিকেট কতো সুন্দর।’

স্টুয়ার্ট ব্রড লিখেন, ‘এটা দেখুন। কি অসাধারণ এক জয়।’

ইরফান পাঠান লিখেছেন, ‘দুই দশক পর অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাবাশ উইন্ডিজ ক্রিকেট, সাবাশ শামার যোসেফ।’

মুশফিকুর রহিম, ‘ঠিক এই কারণের তোমরা টেস্ট ক্রিকেটকে ভালোবাসো। এ কারণেই তোমরা টেস্ট ক্রিকেট খেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুমি অসাধারণ। অভিনন্দন।’

এবারই প্রথমবারের মতো দিন-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৬ রানের টার্গেট দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করেছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান। ম্যাচের চতুর্থ দিনে বিপজ্জনক বোলিং করেন শামার জোসেফ। ৭ উইকেট নিয়ে ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে পরাজিত করেন।