স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমের টানা ছয়দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর জ্ঞান ফিরেছে।
এখন তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন এবং মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সোয়া ১১টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা ধরে স্যারেরা রিসার্চ করেছেন। রোগীর আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আজ তার সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। এটাও আগের চেয়ে ভালো আছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে স্যাররা উপস্থিত থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়েছে। এটি খোলার পর সে ভালোই রেসপন্স করছে, নিজে নিজে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে। লাইফ সাপোর্ট খোলার আগে জ্ঞানের লেভেল ছিল ৮, এখন এটা আরো বাড়বে।”
তিনি আরো বলেন, “সে তার মা-বাবার সঙ্গে মোটামুটি হালকা-পাতলা কথাবার্তা বলতে পারছে। সে তার মা-বাবা, ভাইকে চিনেছে এবং কথা বলেছে। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো, তারা আরো ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশন করবে এবং আগামীকাল বিকেলে আবার সিদ্ধান্ত নেবে, আরো কিছু করার আছে কি-না।”
আরো পড়ুন: স্থানীয়দের হামলা: ৪ দিনেও চবি শিক্ষার্থী সায়েমের জ্ঞান ফেরেনি
এ বিষয়ে সায়েমের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা সহপাঠী আশিকুর রহমান জানান, সায়েমের অবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রণায় সে বাবা-মা বলে ডেকেছে, তবে চোখ খোলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “সায়েমের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে শুনে অনেক ভালো লাগছে। মেডিকেল বোর্ড থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। দোয়া করি আহত সবাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।”
গত ৩১ আগস্ট সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। মস্তিষ্কে আঘাত লেগে খুলির ভেতরের অংশ ও রক্তনালী ছিঁড়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হলে ওইদিন রাতেই অস্ত্রোপচার করে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।