খেলাধুলা

৭ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে হারল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু চামারি আতাপাত্তুর করা শেষ ওভারে টানা চার বলে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তার আগে ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে হারায় আরও একটি উইকেট। ৭ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে বাংলাদেশ হারে মানে ৭ রানে। যেখানে ৪৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ১৯৩, সেখানে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। কি আশ্চর্যজনক হার! শ্রীলঙ্কা যেখানে ৪৮.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করেছিল ২০২ রান।

রান তাড়া করতে নেমে ৪৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ০, ফারজানা হক ৭ ও শবনম মোস্তারি ফিরেন ব্যক্তিগত ৮ রানে। কিন্তু দাঁড়িয়ে যান শারমিন আক্তার ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন ৮২ রানের জুটি গড়েন। শারমিন ৬৪ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলেও লড়াই করেন জ্যোতি। তিনি ৯৮ বলে ৬ চারে ৭৭ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। এরপর বাংলাদেশ ৭ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে। আহত হওয়া শারমিন শেষ মুহূর্তে নেমেও কিছুই করতে পারেননি।

এই দুইজনের বাইরে দুই অঙ্কের কোটায় রান করেন কেবল শর্না আক্তার। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। বল হাতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। সুগন্ধিকা কুমারি ৯ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন উদেশিকা প্রবোধানি।

তার আগে বাংলাদেশের বোলিং তোপে শ্রীলঙ্কার মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে হাসিনি পেরেরা ৯৯ বলে ১৩টি চার ও ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৮৫ রান। আর অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ৪৩ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৬ রান। এছাড়া নীলাক্ষ্মী সিলভা করেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান।

বল হাতে বাংলাদেশের শর্না আক্তার ১০ ওভারে ৪ মেডেনসহ ২৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। রাবেয়া খান ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৯ রানে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি ও নাহিদা আক্তার। ম্যাচসেরা হন ৮৫ রানের ইনিংস খেলা শ্রীলঙ্কার ব্যাটার হাসিনি পেরেরা।

শেষ ম্যাচে রোববার একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। আর শুক্রবার শ্রীলঙ্কা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।