খেলাধুলা

সুপার ওভারে হারল বাংলাদেশ

::সংক্ষিপ্ত স্কোর:: বাংলাদেশ: ২১৩/৭ (৫০ ওভারে) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২১৩/৯ (৫০ ওভারে) ::সুপার ওভার:: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০/১ (১ ওভারে) বাংলাদেশ: ৯/১ (১ ওভারে) ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ রানে জয়ী।

সুপার ওভারে ১ রানে হারল বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে ১ রানে হার মেনেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১০ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ৯ রান। ১ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরাল ক্যারিবিয়ানরা। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সুপার ওভারে ১১ রানের টার্গেট পেল বাংলাদেশ: সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ রান সংগ্রহ করেছে। জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ১১ রান। হোপ ৭ রান করেন। ৩ রান করেন ব্রান্ডন কিং।

সুপার ওভারে গড়াল ম্যাচ: বাংলাদেশের করা ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে সমান ২১৩ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে সুপার ওভারে গড়িয়েছে ম্যাচটি।

৪০ ওভারে দেড়শ রান পেরুল ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৩ রানের মাথায় রোস্টন চেসের উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসকে টেনে নিচ্ছেন অধিনায়ক শেই হোপ ও টেল এন্ডার জাস্টিন গ্রেভস। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ৪০ ওভারে দেড়শ রান পেরিয়েছে সফরকারীরা। হোপ ২৬ ও গ্রেভস ১৬ রানে ব্যাট করছেন। ৪১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫৭।

ছয় উইকেট হারিয়ে ধুকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৯৪। এরপর আরও দুটি উইকেট হারায় তারা। ৩৩ ওভার শেষে ৬ উইকেটে সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৯। জিততে ১৭ ওভারে তাদের এখনো প্রয়োজন ৮৫ রান। হাতে রয়েছে ৪টি উইকেট। শেই হোপ ১৮ ও রোস্টন চেস আছেন ১ রানে।

রিশাদের দ্বিতীয় শিকার কেসি কার্টি ব্রান্ডন কিং আউট হওয়ার পর অ্যাথানেজ ও কেসি কার্টি ৫১ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। অ্যাথানেজকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ। এরপর আকিম অগাস্তেকে নিয়ে আগাতে থাকেন কেসি। ২২তম ওভারে এসে তাকেও আউট করেন রিশাদ। ৮২ রানের মাথায় কেসি কার্টি ফিরেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে। এরপর তানভীর ফেরান আকিমকে। তিনি ১ চারে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ৯৩।

১০ ওভারে ১ উইকেটে ৩৪ রান তুলল উইন্ডিজ পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ব্রান্ডন কিং এর উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা। নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর অ্যাথানেজ ও কেসি মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েছেন দ্বিতীয় উইকেটে। কেসি ১৯ ও অ্যাথানেজ ১৫ রানে ব্যাট করছেন।

রিশাদ ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ ৪৬তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহান যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৬৩। রান রেট ছিল ৩.৫৪। এই গতিতে রান উঠলে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান হতো ১৭৮+। কিন্তু ৪৭তম ওভারে রিশাদ হোসেন মাঠে নেমে ঝড় তোলেন। মাত্র ১৪ বল মোকাবিলা করে ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৩। জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজতে করতে হবে ২১৪ রান।

রিশাদ ছাড়া সৌম্য সরকার করেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৩২, নুরুল হাসান ২৩, অঙ্কন ১৭, শান্ত ১৫, নাসুম ১৪ ও হৃদয় করেন ১২ রান।

বল হাতে সফরকারীদের গুদাকেশ মোতি ১০ ওভারে ৬৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। অ্যালিক অ্যাথানেজ ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১৪ রানে নেন ২টি উইকেট। আর আকিল হোসেন ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪১ রানে নেন ২টি উইকেট।

 

৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৩১/৬ ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ১৩১। শতরান পেরুতেই আউট হন সৌম্য সরকার। তিনি ৮৯ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলে যান। এরপর ১২৮ রানের মাথায় আউট হন নাসুম আহমেদ। ১ ছক্কায় তিনি করেন ১৪ রান। মিরাজ ১০ ও নুরুল হাসান ২ রানে ব্যাট করছেন।

১০০ রান তুলতে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১০৩। এই রান তুলতে বাংলাদেশ হারিয়েছে চার-চারটি উইকেট। সাইফ, হৃদয় ও শান্তর পর সবশেষ আউট হয়েছেন অঙ্কন। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় অ্যালিক আথানেজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে রাদারফোর্ডের হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বল খেলে ২ চারে ১৭ রান করেন অঙ্কন। সৌম্য সরকারের সাথে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। সৌম্য ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। মিরাজ অবশ্য রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

সাইফের পরে ফিরলেন হৃদয়-শান্তও ১০ ওভারে ১ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪০ রান। পরের ১০ ওভারে বাংলাদেশ আরও দুটি উইকেট হারিয়েছে। রান তুলেছে ৩৪টি।

একাদশ ওভারের তৃতীয় বলে গুদাকেশ মোতির বলে আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হৃদয়। তিনি ২ চারে ১২ রান করেন। এরপর শান্ত দলীয় ৬৮ রানের মাথায় অ্যালিক আথানেজকে মারতে গিয়ে ব্রান্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন ২ চারে ১৫ রান করে।

সেখান থেকে সৌম্য সরকার ও নতুন ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের সংগ্রহকে। সৌম্য ৩০ ও অঙ্কন ৪ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলীয় ২২ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান। ১৬ বল খেলে ৬ রান করেন তিনি। এরপর সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয় এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের সংগ্রহকে। সৌম্য ১৬ ও হৃদয় ১২ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ:

পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলীয় ২২ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান। ১৬ বল খেলে ৬ রান করেন তিনি। এরপর সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয় এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের সংগ্রহকে। সৌম্য ১৬ ও হৃদয় ১২ রানে ব্যাট করছেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি অবশ্য ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বাগতিকরা আজ চারজন স্পিনার ও একজন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে। একাদশে এনেছে একটি পরিবর্তন। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে।

টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা টস জিতে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়, এই উইকেটে ২৩০ থেকে ২৪০ রান খুব ভালো স্কোর। আগের ম্যাচে আমরা পূর্ণ ৫০ ওভার খেলতে পারিনি। তাই অন্তত ৩০ রান কম হয়েছিল। যদি এবার পুরো ওভার খেলতে পারি, তাহলে এমন স্কোর সহজেই পাওয়া সম্ভব।’’

‘‘নতুনদের পারফরম্যান্স নিয়েও আমি দারুণ খুশি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের শুরুটা ছিল অসাধারণ। যেভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করেছে, তা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। দুইটা দ্রুত উইকেট পড়ার পর হৃদয় ও মাহিদুল দারুণ এক জুটি গড়ে দেয়, যা আগের ম্যাচে ছিল আমাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’’

‘‘দলে আজ একটি পরিবর্তন আছে। তাসকিন আহমেদ খেলছেন না, তার জায়গায় ফিরেছেন নাসুম আহমেদ।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ বলেন, “ড্রেসিংরুমে আমাদের আলোচনা মূলত দলীয় পরিকল্পনাকে ঘিরেই ছিল। বিশেষ করে মাঝের ওভারে স্পিন মোকাবিলায় আমরা কীভাবে কৌশল সাজাব, সেটি নিয়েই বেশি কথা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটা জয় করতে হলে নিজেদের খেলাকে সেই অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে। আলোচনা বেশ ইতিবাচক ছিল, সবাই তৈরি আছে ম্যাচের জন্য।’’

‘‘উইকেট নিয়ে বলতে গেলে, এটা স্পিনারদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক। তবে সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারলে পেসাররাও এখান থেকে কিছুটা সাহায্য পেতে পারে। আমরা আমাদের বোলারদের বলেছি, শুধু স্পিনের ওপর নির্ভর না করে বরং লাইন ও লেন্থের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারলে এমন উইকেটে রান তোলা সবসময়ই কঠিন।’’

‘‘দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। আকিল হোসেইন ফিরেছেন জেডন সিলসের জায়গায়, আর রোমারিও শেফার্ডের পরিবর্তে আজ অভিষেক হচ্ছে আকিম অগাস্টের।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, আলিক আথানাজে, কেসি কার্টি, শেই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শারফেইন রাদারফোর্ড, আকিম অগাস্টে, রস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রেভস, গুদাকেশ মোতি, খারি পিয়েরে ও আকিল হোসেইন।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানভির ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।