খেলাধুলা

দাপুটে জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের

বিপিএল-এর দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই রাজকীয় হুঙ্কার দিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের বিধ্বংসী বোলিং আর লিটন-মালানের ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিল রংপুর।

এদিন টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা যে কতটা সঠিক ছিল, তা শুরুতেই প্রমাণ করেন রংপুরের পেসাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই চট্টগ্রামের ওপেনার অ্যাডাম রসিংটনকে বিদায় করেন গতিদানব নাহিদ রানা। এরপর নাঈম শেখ (৩৯) পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে থমকে যান।

তবে আসল ভেলকিটা দেখান ফাহিম আশরাফ। চট্টগ্রামের মিডল অর্ডারে একাই ধস নামান এই পাকিস্তানি পেসার। মাত্র ১৭ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৫টি উইকেট, যা বিপিএলের ইতিহাসে তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। চট্টগ্রামের ব্যাটাররা ফাহিম ও মোস্তাফিজের কাটারের কোনো কূলকিনারা না পেয়ে মাত্র ১০২ রানেই গুটিয়ে যায়।

১০৩ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও ডেভিড মালান শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মাহমুদুল হাসান জয়ের এক ওভারেই তারা তুলে নেন ২৪ রান। লিটন ৩১ বলে ৪৭ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও মালান এক প্রান্ত আগলে রাখেন।

জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর ঠিক ২ রান আগে মালান ৫১ রান করে আউট হলেও রংপুরের জয় পেতে কোনো কষ্ট হয়নি। ১৫ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তুলে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় রাইডার্সরা। চট্টগ্রামের হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ দুটি উইকেট নিলেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের ফাহিম আশরাফ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড: চট্টগ্রাম রয়্যালস: ১০২/১০ (১৭.৫ ওভার); নাঈম ৩৯, মির্জা ২০; ফাহিম ৫/১৭, মোস্তাফিজ ২/১৯। রংপুর রাইডার্স: ১০৭/৩ (১৫ ওভার); মালান ৫১, লিটন ৪৭; মুগ্ধ ২/৫। ফল: রংপুর রাইডার্স ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: ফাহিম আশরাফ।