সারা বাংলা

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর হত্যা: ৫ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন জানান, কয়েক জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই পাঁচ জনকে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, মনো-সামাজিক পরামর্শক (প্রবেশন অফিসার) মুশফিকুর রহমান, শরীরচর্চা শিক্ষক ওমর ফারুক ও কারিগরি শিক্ষক শাহানুর আলম। 

এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত পারভেজ হাসানের বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতয়াালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেন। 

এ মামলায় ওই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান।

কর্মকর্তা মুশফিক আহমেদ দাবি করেন, কেন্দ্রে বন্দি কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তখন রড ও লাঠির আঘাতে ১৭ কিশোর মারাত্মক জখম হয়। 

এর মধ্যে খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়া গ্রামের রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তালিপপুর পূর্বপাড়া গ্রামের নানু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭) মারা যায়।   

তবে জাবেদ হোসেনসহ আহত কয়েক কিশোর জানান, কর্মকর্তা এবং বন্দি কিশোররা তাদের লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে তারা অচেতন হলে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে তাদের একইভাবে আবার পেটানো হয়। এতে হতাহত হয়েছে।  

* যশোরে ৩ কিশোরের মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি, বরখাস্ত ১

*যশোরে ৩ কিশোর নিহত, চুল কাটা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত