সারা বাংলা

রামপাল থেকে চুরি যাওয়া ৪৭ লাখ টাকার মেশিন উদ্ধার, আটক ৪

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার মেশিন (BOMB CALORIMETER) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটকও করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা থেকে চোরদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন- রামপাল উপজেলার বর্ণী গ্রামের মো. বাচ্চু শেখের ছেলে বাদশা শেখ (২৩), পিরোজপুর জেলার নরখালি গ্রামের মো. নুর আলমের ছেলে রাব্বি ইসলাম (২৪), বাগেরহাটের ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের প্রকাশ চন্দ্র শীলের ছেলে কার্তিক শীল (২৫) ও খাজুরা গ্রামের মো. শামসুল আলমের ছেলে মো. আবুল কারিম (২৭)। এদের মধ্যে কার্তিক শীল ছাড়া অন্য তিন জন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। 

আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৭ লাখ টাকার মেশিন চুরি

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেশিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা প্রথমে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা থেকে চোরচক্রের চারজনকে আটক করি। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাব্বির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কয়লা পরীক্ষার মেশিন (BOMB CALORIMETER) উদ্ধার করা হয়েছে। মেশিনটি মূল্যবান হওয়ায় তারা চুরি করেছে। এছাড়াও এই চুরির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এর আগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ৪৭ লক্ষ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার ওই মেশিনটি চুরি হয়। পরে ১৬ জানুয়ারি রামপাল থানায় এসংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) মো. অলিউল্লাহ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেন্দ্রের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কেমিস্ট আব্দুল মালেক ল্যাব বন্ধ করার সময় টেস্টিং যন্ত্রটি টেবিলের উপরেই ছিলো। আব্দুল মালেক চলে যাওয়ার আগে তালার চাবি ল্যাব-১ এর মুসা পারভেজকে দিয়ে ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. সাদ্দাম হোসেন এবং তানভীর রহমানকে দিতে বলেন। মুসা পারভেজ তাদের চাবি দেন। রাত ১০টায় ওই স্থানে ডিউটিতে আসেন মো. জাকারিয়া আল রাজী এবং মাসুম বিল্লাহ। ১৫ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ডিউটি শেষ করেন তারা। এসময় মো. সাদ্দাম হোসেন এবং মো. মাসুম বিল্লাহ দায়িত্ব নেন। সকাল ৯টার দিকে রুম ক্লিনার আব্দুল নোমান ল্যাব-২ পরিস্কার করতে গিয়ে টেবিলে মেশিন দেখতে না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।