আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহ

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। 

বুধবার (১৩ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে একথা জানিয়েছেন।

স্পিকার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে সংবিধানের ৩৭.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।’

তিনি আরো জানান, গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় রনিল বিক্রমসিংহকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট তাকে জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময় শ্রীলঙ্কার যাবতীয় ঘোষণা পার্লামেন্টের স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসছে।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে বুধবার সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা

২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপ রাষ্ট্রটি ১৯৪৮ যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার লাভের পর সবচেয়ে কষ্টদায়ক অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এছাড়া বিদ্যুতের ঘাটতি চরমে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অভাবে শ্রীলঙ্কা বিদেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি করতে পারছে না। দাম পরিশোধ করতে না পারায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সিমেন্ট পর্যন্ত সব গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় গোতাবায়া রাজাপাকসের গঠন করা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। 

কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন। এরই মধ্যে শনিবার (৯ জুলাই) আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টে ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে বাঁচতে সে সময় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বাসভবন থেকে পালিয়ে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে শ্রীলঙ্কার একটি সামরিক বিমানে পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি।