সারা বাংলা

স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যা মামলার আসামি রিমান্ডে

স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আল আমিন আলিফকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। 

শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মানিক দাস এ আদেশ দেন। এর আগে আলিফকে আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আরও পড়ুন: বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন, ১৪ দিন পর স্থপতি ইমতিয়াজের লাশ শনাক্ত

মুন্সীগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ জামাল হোসেন জানান, আজ (শনিবার) বিশেষ আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আরও পড়ুন: স্থপতি ইমতিয়াজ চ্যাটিং অ্যাপ থেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার

প্রসঙ্গত, স্থপতি ইমতিয়াজ গত ৭ মার্চ ঢাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মরিচের সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পরের দিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। গত ৯ মার্চ বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে লাশটি নিখোঁজ স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার বলে দাবি করে তাঁর পরিবার।

স্থপতি ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হয়। সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হলে এক ব্যক্তি কমেন্ট করে জানান, সংবাদে প্রচার করা বর্ণনা ও চেহারার একটি লাশ সিরাজদিখানে পাওয়া গেছে। পরের দিন শনিবার (১৮ মার্চ) সিরাজদিখান থানায় আসে ইমতিয়াজের স্বজনেরা। সুরতহাল করা সেই লাশের চেহারা, পরনের জামা কাপড়ের সঙ্গে নিখোঁজ ইমতিয়াজের মিল ছিল। এতে স্বজনেরা দাবি করেন, মুন্সীগঞ্জে দাফন করা লাশটিই ইমতিয়াজের। পরে নিখোঁজের স্বজনরা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান আমলি আদালতে লাশ তোলার ব্যাপারে আবেদন করেলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস সোমবার (২০ মার্চ) লাশ তোলার অনুমতি দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ২১ মার্চ মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।