ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

খুলনায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা: দাফন বেড়েছে ৩ গুণ

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ৭ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৯:১৯, ৭ জুলাই ২০২১
খুলনায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা: দাফন বেড়েছে ৩ গুণ

টুটপাড়া কবরখানা

খুলনায় করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তালিকা ক্রমান্বয়েই দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে লাশের মিছিল। এ অবস্থায় চাপ বেড়েছে কবরস্থানেও। প্রতিদিনই দাফনের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ দাফন বেড়েছে গোরস্থানে।

এদিকে, করোনায় মৃত্যুর বিষয়টি কেউ গোপন করছেন, কেউ বা বলছেন। এর বাইরেও স্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনও চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একদিকে হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ, অন্যদিকে নগরীর কবরস্থানগুলোতে বেড়েছে লাশ দাফনের চাপও। খুলনা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নগরীর টুটপাড়া কবরস্থান, বসুপাড়া কবরস্থান, লবণচরা হাজী আব্দুল মালেক জান্নাতুল বাকী কবরস্থান, নিরালা কবরস্থান, গোয়ালখালী কবরস্থান, মহেশ্বরপাশা কবরস্থান এবং দেয়ানা কবরস্থানে মৃত ব্যক্তিরা দাফন করা হয়। এর মধ্যে টুটপাড়া ও গোয়ালখালী কবরস্থানে দাফনের সংখ্যা আগের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কবরস্থানের রেজিস্ট্রাররা জানিয়েছেন।

টুটপাড়া কবর খানার রেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে দাফনের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার মৃতদের পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তিরের লাশ দাফনও করা হচ্ছে।

রেজিস্ট্রার জানান, আগে প্রতি সপ্তাহে ৩-৪টি লাশ দাফন করা হলেও সেখানে এখন প্রতিদিন ৪-৫টি লাশ দাফন হচ্ছে। কখনো এর চেয়েও বেশি লাশ দাফন করা হচ্ছে।আগে করোনার লাশ স্বেচ্ছাসেবীরা এসে দাফন করিয়ে যেতো। এখন মানুষের মধ্যে ভয় কমেছে। অনেক ক্ষেত্রে স্বজনরা এসে দাফন করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গোয়ালখালী কবরস্থানের রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম জানান, ২৮ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিনে সর্বোচ্চ ৪২ জনের দাফন করা হয়েছে। এর আগের এক সপ্তাহে ৩৬ জনের লাশ দাফন সম্পন্ন করি। মঙ্গলবার ৫ জন ছিলো। এর মধ্যে কেউ আবার করোনার মৃত্যুর বিষয়টি গোপনও রাখছেন। যারা বাড়িতে বসেই করোনায় মারা যাচ্ছেন মৃত ব্যক্তির স্বজনরা সেটি গোপন রাখছেন। কিন্তু পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

নগরীর বসুপাড়া কবরস্থানের রেজিস্ট্রার রুহুল আমিন জানান, প্রতিদিন দুই একজন করে লাশ দাফন করা হচ্ছে। তবে, এখানের চেয়ে টুটপাড়া ও গোয়ালাখালী কবরখানায় লাশের দাফন বেশি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রতিদিনই বাড়ছে হারানো স্বজনদের নামের তালিকা। গত কয়েকদিনে একের পর করোনার মৃত্যু ও শনাক্তে রেকর্ড গড়ছে খুলনা বিভাগে। মঙ্গলবার খুলনা বিভাগে করোনার সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ জনের। এ সময়ে ৮ জেলায় মারা গেছেন ৪০ জন। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩০৫ জনের।

খুলনা/বুলাকী 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ