ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চ টাঙ্গাইলে সমাবেশ করতে পারেনি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ৪ জুন ২০২৩  
গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চ টাঙ্গাইলে সমাবেশ করতে পারেনি

আওয়ামী লীগ একই স্থানে শান্তি সমাবেশ আহ্বান করায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চ টাঙ্গাইলে সমাবেশ করতে পারেনি। পরে রোড মার্চের বহর শহরের অদূরে সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় সেখানেও ছাত্রলীগ কর্মীরা মহড়া দেয়। 

মওলানা ভাসানীর মাজারের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা রোড মার্চ করছি গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর— এ ব্যাপারে মানুষ যে ঐক্যবদ্ধ সেটা সরকার বুঝতে পারছে। তাই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভয় পাচ্ছে। নানাভাবে এ সব কর্মসূচিতে বাধার সৃষ্টি করছে।’

গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চ বিকেল ৪টায় ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়ায় সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেখানে একই সময় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। পরে রোড মার্চ সেখানে না থেমে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই এলাকা অতিক্রম করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রোড মার্চের বহর টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে যায়। সেখানে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন। 

এ সময় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা মাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা সেখানে হৈ চৈ শুরু করে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেতারা মাজার এলাকা থেকে বের হয়ে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে চলে আসেন। 

সেখানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা একটি রোড মার্চে আছি। আমরা সফরকারী। সফররতভাবে আমরা একটা কর্মসূচির জায়গা ঠিক করেছি। পুলিশের দায়িত্ব আমাদের সেই জায়গা নিরাপত্তা দেয়ার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেখানে শান্তি সমাবেশ ঘোষণা করে। সেখানে পুলিশ তাদের সহযোগী ছিল। আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। অন্যত্র তারা স্থান ঠিক করে দিক। পুলিশ সেই বিষয়ে সহযোগিতা দেয়নি।’

১৫টি মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রোড মার্চে অন্যান্যের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

এ দিকে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ আহ্বান করলেও তারা করাতিপাড়ায় সমাবেশ করেনি। বিকেলে ওই এলাকায় তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী অবস্থান নেয়। গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চের বহর ওই এলাকা অতিক্রম করে যাওয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এ সময় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ওরফে গাউস এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাজিক।
 

কাওছার/বকুল 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়