ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

লোকসানে আলু আমদানি বন্ধ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:০৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
লোকসানে আলু আমদানি বন্ধ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ৯ দিন ধরে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। লোকসান এড়াতে ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন এখানকার আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত আলু সরবরাহ থাকায় কম দামে দেশি আলু কিনছেন ভোক্তারা। ফলে ভারতের আলু বিক্রি না হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে আমদানিকারকদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নতুন করে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

আমদানিকারকরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাজারে আলু দাম আবারও বেড়ে যায়। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৃতীয় দফায় আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরইমধ্যে বাজারে দেশি আলু উঠতে শুরু করে। ফলে বাজারে ভারতীয় আলুর চাহিদা কমে যায়।

আলু আমদানিকারক আসাদুল হক বলেন, বাজারে দেশি আলু নামার পর থেকেই ভারতে উৎপাদিত আলুর চাহিদা কমে গেছে। ফলে বাজারে ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। এ অবস্থায় আলু আমদানি করে লোকসান হচ্ছে।

মিজানুর রহমান নামরে অপর আলু আমদানিকারক বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি করতে প্রতিকেজিতে খরচ হয় ২৫ থেকে ২৮ টাকা (রকমভেদে)। এদিকে আমদানি সমপরিমাণ টাকায় দেশি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারেই। লোকসান হওয়ায় আলু আমদানি বন্ধ রেখেছি। যদি সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতো তাহলে আমরা আলু আমদানি স্বাভাবিক রাখতাম।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, প্রায় অর্ধশতাধিক আমদানিকারক ভারত থেকে আলু আমদানি করতেন। প্রথম দিকে আলু আমদানি করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও, এখন তারা ভারত থেকে আলু এনে লোকসানের মুখে পড়ছেন। এজন্য আমদানিকারকরা আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে তৃতীয় দফায় ৭৭ হাজার মেট্রিকটন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এ বন্দরের ৬৮ আমদানিকারক আলু আমদানি করার কথা ছিল।

এ বিষয়ে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সমির ঘোষ বলেন, অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা মাত্র ১ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন। সর্বশেষ আলু ১০ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানি করেন। তারপর থেকেই আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজার তদারকি কর্মকর্তা মো. মনেয়ার হোসেন বলেন, বাজারে দেশি আলু সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে অনেক। পাইকারি পর্যায়ে ২০ থেকে ২২ ও খুচরা পর্যায়ে রকমভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিদরে আলু বিক্রি হচ্ছে। এখন ভারত থেকে আলু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। ফেব্রুয়ারি থেকে দেশি আলু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এখন আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

মেহেদী/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়