ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ইজারার মেয়াদ শেষ, তবুও গড়াই নদী থেকে চলছে বালু উত্তোলন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ২ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৬:২৪, ২ মার্চ ২০২৪
ইজারার মেয়াদ শেষ, তবুও গড়াই নদী থেকে চলছে বালু উত্তোলন

গত মাসের ১৫ তারিখ ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবুও, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বরুরিয়া মৌজায় গড়াই নদী পাড়ের ড্রেজিংকৃত বালির প্যাকেজ নং ২ থেকে গাড়ি গাড়ি বালু অপসারণ (তোলা) করা হচ্ছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বালু উত্তোকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেখা যায়, গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কুমারখালীর বরুরিয়া নামক স্থানের ড্রেজিংকৃত স্তূপ করে রাখা বালু বিক্রি করে অপসারণের জন্য দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছে (স্মারক নস্বর এ-৩৯/১১৯০, তাং-১৩/১০/২০২২)। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ড্রেজিং বালু অপসারণের ইজারা পাই কুমারখালীর মেসার্স রিভারভিউ ট্রেডার্স। যার প্রোপাইটর মো. আব্দুল খালেক। বালু অপসারণের সময় সীমা থাকবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। নির্ধারিত সময়ের পরে বালু অপসারণ করা হলে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের লালন বাজার বরুরিয়া সড়ক দিয়ে সেলোইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বা করে বিভিন্ন স্থানে বালু নেওয়া হচ্ছে। বরুরিয়া এলাকায় গড়াই নদী পাড়ের ড্রেজিংকৃত বালু কাটা হচ্ছে। সেখানে একটি বালু কাটা যন্ত্র ভেকু রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, সকাল থেকে বালু তোলা হচ্ছিল। সাংবাদিকদের খবর শুনে পালিয়েছে বালু উত্তোলনকারীরা। 

স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই ড্রেজিংকৃত বালু কেটে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন। আজ (শুক্রবার) সকালেও তারা বালু কাটছিল। এখন দেখছি বালু কাটা বন্ধ রয়েছে। 

ভেকু মালিক মো. পান্না শেখ ফোনে বলেন, বালু তোলার মেয়াদ শেষ হয়নি। সেজন্য প্রতিদিনই বালু তুলছেন তিনি। সকালেও বালু তুলেছেন। প্রতি গাড়ি বালু তুলতে খরচ হচ্ছে ৬০০ টাকা। 

ঠিকাদার মো. আব্দুল খালেক জানান, প্রায় ১৪ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন তিনি। নানাবিধ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বালু অপসারণ করতে পারেননি তিনি। সেজন্য পাউবোর কাছে সময় বাড়ানোর জন্য তিনি আবেদন করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী জেলার বাইরে থাকায় এখনও সময় বাড়াতে পারেননি তিনি। তার ভাষ্য, বালু তোলায় অনেক ঝামেলা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া পাউবোর ভূমি ও রাজস্ব শাখার সহকারী পরিচালক (অ.দা.) মো. আমিনুল ইসলাম ফোনে বলেন, বালু নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আপনি অফিসে আসেন। চা খেতে খেতে গল্প হবে। পরে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল হক বলেন, পাউবোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বরুরিয়া এলাকায় বালু অপসারণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে মেয়াদ বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি বালু উত্তোলন করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়