ভোমরা স্থলবন্দরে পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ হিসেবে চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস্ অফিসের সামনে ভোমরা কাস্টমস্ হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এ এস এম মাকছুদ খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, ভোমরা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি’র ফিরোজ হোসেন, ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি’র রেজাউল ইসলাম, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন’র পক্ষে বক্তব্য রাখেন লুৎফর রহমান ও আব্দুস সাত্তার জুয়েল প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দসহ ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ৮টি সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সব ধরনের পণ্য আমদানিসহ বন্দরটি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কাস্টমস হাউজ দ্রুত তৈরি করে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বেগবান করাসহ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া শুল্ক স্টেশনটি বন্দরে রূপান্তরিত হলেও এখনও ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টম হাউজ চালু হয়নি। ফলে পূর্ণাঙ্গ বন্দরের মর্যাদা পায়নি ভোমরা স্থল বন্দর। যে কারণে সকল ধরনের পণ্য এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে না। ভোমরা কাস্টমস্ হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতক্ষীরার ৫ জন সংসদ সদস্যের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করে এই পূর্ণাঙ্গ বন্দর চালু করতে হবে; এটাই আমাদের দাবি। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে পরিণত করতে হলে কাস্টম হাউজ চালুর কোনো বিকল্প নেই।

এসময় বক্তারা দ্রুত ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস হাউজ চালু না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি দেন।