ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

‘দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা’ দাবি বিক্রেতাদের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ২২:০৬, ১৫ জুন ২০২৪
‘দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা’ দাবি বিক্রেতাদের

উত্তরের জেলা গাইবান্ধার সাত উপজেলায় এ বছর ৪১টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও শনিবার (১৫ জুন) রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

সরেজমিনে দাড়িয়াপুর, লক্ষ্মীপুর, ভরতখালি, মাদারগঞ্জ ও পলাশবাড়ী হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় ক্রেতারা অভিযোগ করেন, এবার কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন, সকাল থেকে কয়েকটি হাট ঘুরেও বেশি দামের কারণে কোরবানির পশু কিন‌তে পারিনি। এ বছর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। যাদের টাকা আছে তারা কেউ কেউ কিনেছেন। তবে মধ্যবিত্তরা বাজেট স্বল্পতার কারণে কিনতে পারছেন না।

আরো পড়ুন:

সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যাপারী বলেন, ২০টি গরু নিয়ে দাড়িয়াপুর হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬টি বিক্রি করেছি। হাটে অনেক ক্রেতা এলেও গরু দেখে আর দাম শুনে চলে গেছেন। আর যারা দাম বলেছেন, সেটা কেনা দামের থেকেও অনেক কম। খামারিদের কাছে বেশি দামে কিনে কম দামে তো বিক্রি করতে পারি না।

শহরের সরকার পাড়া থেকে আসা শাহিন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গরু কিনতে এসেছিলাম। গরু পছন্দও হয়েছে, তবে বিক্রেতা দাম বেশি চাচ্ছেন। আগামীকাল আবার আসব।

ওয়াপদা পাড়া থেকে ছাগল কিনতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, অনেক চেষ্টার পরে একটি ছাগল কিনেছি। তবে দাম একটু বেশি নিয়েছে।

দাড়িয়াপুর হাটের ইজারাদার আয়ান মিয়া বলেন, গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার পশুর দাম একটু বাড়তি। আশা করছি, আজ রাত ও আগামীকাল বিক্রি আরও বাড়বে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ১৬ হাজার ৭৫৯টি খামারে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে, গরু ৬৩ হাজার ২৪৬টি, মহিষ ১৪৭টি, ছাগল ও ভেড়া ৮১ হাজার ৯৮৮টি।

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, জেলায় চাহিদার থেকেও এবার ২২ হাজার ৩৩০টি পশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার পশুর দাম বাড়তি। এছাড়া মানুষের আয় কমে গেছে। তাই কিছু পশু অবিক্রীত থাকতে পারে।

মাসুম/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়