ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩২, ১৫ জুন ২০২৪  
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা 

ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনও এ সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নদ-নদী তীরবর্তী নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে পারে।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেভাবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। যদি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে আগাম দু’-একদিনের মধ্যে চরাঞ্চলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাদ দিয়ে জানায়, উজানে ও স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে জেলায় স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন জেলায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর উজানে ভারতের অংশে ও স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী তিন দিন দুধকুমার ও ধরলা অববাহিকায় বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। এতে করে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রাম বন্যাপ্রবণ জেলা হওয়ায় বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

সৈকত/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়